রাজ্যের পার্টিতে তরুণদের অন্তর্ভুক্তির হার কম বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রকাশ কারাট। শনিবার সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনে তিনি কেরলের তুলনা টেনে দেখান, সেখানে ২২ শতাংশ সদস্যের বয়স ৩১ বছরের নিচে। কেন বাংলায় এই হার কম, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
রবিবার তার জবাব দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি জানান, পার্টিতে তরুণদের অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা থাকলেও ইতিমধ্যে কাঠামোগত উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি হয়েছে। সেলিম বলেন, “কমিউনিস্ট পার্টিতে মিস্ডকল দিয়ে সদস্য হওয়া যায় না। উৎসাহীদের প্রশিক্ষিত করা ও পার্টির সঙ্গে যুক্ত করার একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে।”
রাজ্য সম্মেলনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত তিন বছরে পার্টি ২৫ হাজার সদস্যপদ খারিজ করলেও অন্তর্ভুক্তির সংখ্যা তার চেয়ে বেশি। ২০২২ সালে ১১ হাজার, ২০২৩ সালে ৫,৮০০ এবং ২০২৪ সালে ৮,৪০০ সদস্যপদ বাতিল হয়েছে। কিন্তু মোট সদস্যসংখ্যা যথাক্রমে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার, ১ লক্ষ ৫৭ হাজার এবং বর্তমানে ১ লক্ষ ৫৮ হাজারে পৌঁছেছে। অর্থাৎ অন্তর্ভুক্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, কয়েক হাজার সদস্য সদস্যপদ পাওয়ার এক বছরের মধ্যে তা ছেড়ে দিয়েছেন, যা উদ্বেগজনক।
সিপিএম সূত্রে খবর, এবারের রাজ্য সম্মেলনে তরুণদের দলে আনার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। সোমবার সম্মেলনের বিশেষ অধিবেশনে নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ করা হবে। ধারাবাহিক নির্বাচনী বিপর্যয়ের প্রসঙ্গ তুলে সেলিম অভিযোগ করেছেন, বিজেপি ও তৃণমূল বিদেশি অর্থ ব্যবহার করছে। তিনি দাবি করেন, “২০১১ সালেও এনজিওর মাধ্যমে বাংলায় বিদেশি টাকা এসেছিল, যা ভোট লুটের কাজে ব্যবহৃত হয়েছে।” তবে তৃণমূল এই অভিযোগকে ‘অবান্তর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
রাজনীতির ময়দানে তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়াতে বদ্ধপরিকর সিপিএম নেতৃত্ব। তবে বাস্তবে সেই পরিকল্পনা কতটা সফল হয়, তা ভবিষ্যতই বলবে।