Jazzbaat24বাংলা নিউজ ডেস্ক
সোমবার সেলিমের পেশ করা প্রতিবেদনের উপর জেলার প্রতিনিধিদের আলোচনা শেষ হয় হুগলী জেলার ডানকুনিতে সিপিএমের রাজ্য সন্মেলনে। সেলিম নির্যাস সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন, “প্রতিনিধিদের আলোচনায় নাছোড়বান্দা মনোভাবের কথা উঠে এসেছে।” এ প্রসঙ্গে কোনও আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেননি সিপিএম রাজ্য সম্পাদক নিজে। তবে সিপিএমের নেতারা একান্ত আলোচনায় মানছেন, গত কয়েক বছরে বেশ কিছু ঘটনায় তাঁদের গণ সংগঠনগুলি আন্দোলনের তেজ দেখালেও তা ভোট বাক্সে প্রতিফলিত হয়নি কিছুতেই। সেই আন্দোলন শুরু হলেও, তার যে শেষ হয়নি তা-ও মানছেন সিপিএম নেতারা।
যেমন এই প্রসঙ্গে উঠে এসেছে হাওড়ার আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর তদন্তের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিল সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠন। পাঁচলার ধুন্ধুমার কর্মসূচির পরে গ্রেফতার হয়ে বেশ কয়েক দিন জেল খাটতে হয়েছিল সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে। কিন্তু সেই আন্দোলন সেই অর্থে পূর্ণতা পায়নি। আবার আরজি কর আন্দোলনেও কখনও ঝান্ডা নিয়ে, কখনও ঝান্ডা ছেড়ে যুক্ত ছিল বামেরা। সেই আন্দোলনও এখন অনেকটাই স্তিমিত। যদিও সম্মেলনে স্থানীয় সমস্যা নিয়ে দাবি আদায়যোগ্য আন্দোলনের কথা উল্লেখ করেছেন প্রতিনিধিরা।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সেলিম বলেছেন, “আমরা ঠিক করেছি প্রোজেক্ট বেসড মিশন মোডে আন্দোলনকে নিয়ে যাব।” মিশন মোডের অর্থ কোনও কিছু শুরু করলে তার শেষ পর্যন্ত যাওয়া। সেই প্রশ্নেই দুর্বলতা কাটানোর কথা উল্লেখ করেছেন সেলিম। দলের কোন স্তর, কী কাজ করবে তা-ও রাজ্য সম্মেলনের বিশেষ অধিবেশন থেকে নির্দিষ্ট থেকে চূড়ান্ত করবে সিপিএম।
এই সম্মেলন থেকে সিপিএম এই শিক্ষা গ্রহণ করছে যে আন্দোলন একমাত্র পথ। যে পথ একদিন তাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে। কিন্তু সেই আন্দোলনকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে যে যাতে সেই আন্দোলন এর শেষ পর্যন্ত একটা ফল লাভ হয়। নিষ্ফলা আন্দোলন করে কোনোও লাভ নেই। সেই কথাই পরোক্ষে স্বীকার করে নিলো সিপিএম। একটা সঠিক পরিকল্পনা করে আন্দোলন করে এগিয়ে চলা। যা এতদিন ধরে ঠিক ভাবে করা হয়নি। আর তাই তার ফল লাভ হয়নি তাদের। নতুন এই প্রজেক্ট বেসড মিশন মোড কতটা দলকে চাঙ্গা করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।