এক ভয়ার্ত সকাল। আহিরীটোলা ঘাটে রক্তমাখা ট্রলিব্যাগ হাতে দুই মহিলা। সন্দেহ হতেই এগিয়ে যান স্থানীয়রা। প্রথমে দাবি, ব্যাগে কুকুরের দেহ! কিন্তু খুলতেই যা দেখা গেল, তাতে স্তম্ভিত সকলে—টুকরো টুকরো মহিলার দেহ!
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটা। আহিরীটোলা ঘাটের এক মহিলা কর্মীর নজরে আসে ঘটনাটি। দুই মহিলাকে ট্যাক্সি থেকে ভারী ট্রলিব্যাগ নামাতে দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। তখনই তিনি বিষয়টি জানান স্থানীয় যোগব্যায়ামকারীদের। তাদের পরামর্শে পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। পুলিশ এসে প্রশ্ন করতেই শুরু হয় গড়িমসি।
প্রথমে দাবি করা হয়, ব্যাগের মধ্যে রয়েছে একটি ল্যাব্রাডর কুকুরের মৃতদেহ। কিন্তু স্থানীয়রা তা মানতে নারাজ। ক্রমাগত চাপের মুখে এক মহিলা দাবি করেন, তাঁর মেয়ের ননদ আত্মহত্যা করেছেন, শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে গায়ে আগুন দিয়েছেন। কথায় অসঙ্গতি দেখেই পুলিশ ব্যাগ খুলতে বলে। আর খুলতেই উন্মোচিত হয় বিভীষিকা!
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এক মহিলার দেহ চার টুকরো করা। দেহে ছিল গভীর ক্ষতচিহ্ন। মুণ্ডহীন দেহ দেখে পুলিশের সন্দেহ, হত্যার পর দেহ লোপাটের ছক ছিল। দুই মহিলাকে আটক করা হয়েছে। কে এই মৃত মহিলা? কেন এই নৃশংসতা? পুলিশের প্রশ্নের জবাব এখনও জটিল ধাঁধা!