২০১৪ সালে দুর্গাপুজোর সময় মন্দির থেকে টাকা খোয়া যাওয়া নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। সেই সময় মন্দিরের প্রণামী বাক্স থেকে মোট ১০ হাজার টাকা চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল এক স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী শম্ভু চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। আর তার ১১ বছর পর মিলল বিচার। ২০১৪ সালের একটি পিটিয়ে খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল পানিহাটি পুরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারক গুহ। আদালত সূত্রে খবর, কাউন্সিলর ছাড়াও এই মামলায় একই সাজা হয়েছে আরও চার জন অভিযুক্তের।
২০১৪ সালে দুর্গাপুজোর সময় মন্দির থেকে টাকা খোয়া যাওয়া নিয়েই সূত্রপাত বিতর্কের। সেই সময় মন্দিরের প্রণামী বাক্স থেকে মোট ১০ হাজার টাকা চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল এক স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী শম্ভু চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। জানা যায়, সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই দলবল নিয়ে দুর্গা মণ্ডপেই মাছ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে মারেন বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর তারক গুহ ও তার অনুগামীরা। তখন তিনি কিন্তু কাউন্সিলর হননি। তাও এলাকায় দাপট কম ছিল না তারকের। পিটিয়ে খুনের পর গোটা ঘটনাকেই ধামাচাপা দিয়ে দেন তিনি, এমনটাই অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
কয়েক বছর পর সেই মামলায় ব্যারাকপুর আদালতে দায়ের হয় একটি মামলা। যার ভিত্তিতে বারংবারই কাউন্সিলরকে হাজিরা দেওয়ার জন্য আদালতে তলব করেন বিচারক। কিন্তু প্রতিবারই ছলে-বলে-কৌশলে সেই তলব এড়িয়ে যেতেন তিনি। উল্লেখ্য শেষবার,
গত সপ্তাহের শুক্রবার কাউন্সিলরকে ফের তলব করা হলে, আদালতে হাজিরা দেন তিনি। তখন শাসক নেতাকে হাতের নাগালে পেতেই গ্রেফতারির নির্দেশ দেন বিচারক। সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তাকে। সেই ঘটনার এক সপ্তাহ কাটেনি। তার আগেই বড় রায় শুনিয়ে দিলেন ব্যারাকপুর আদালতের বিচারক।
মঙ্গলবার, ছিল সাজা ঘোষণা। ২০১৪ সালের পিটিয়ে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর তারক গুহ-সহ নেপাল গুহ, জয়দেব মুখার্জি, শ্যামল দাস ,হরিপদ সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। পাঁচ অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন সাজা শোনান তিনি। দীর্ঘ এগারো বছর পর অবশেষে বিচার পেলো নিহত মাছ ব্যবসায়ী শম্ভু চক্রবর্তীর পরিবার।