রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের বেতন বাড়ানোর ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে চিকিৎসকদের নিয়ে এক আলোচনাসভায় তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। সিনিয়র রেসিডেন্টদের বেতন ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর পাশাপাশি ইন্টার্ন, হাউসস্টাফ ও ট্রেনিদের ভাতা মাসিক ১০ হাজার টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডিপ্লোমাধারী সিনিয়র রেসিডেন্টদের বেতন ৬৫ হাজার থেকে বেড়ে ৮০ হাজার, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট সিনিয়র রেসিডেন্টদের ৭০ থেকে বেড়ে ৮৫ হাজার এবং পোস্ট ডক্টরেট সিনিয়র রেসিডেন্টদের বেতন ৭৫ থেকে বেড়ে ১ লাখ টাকা করা হচ্ছে।’ এই ঘোষণার ফলে চিকিৎসক মহলে স্বস্তির বাতাস বইছে।
চিকিৎসকদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে ন্যূনতম ৮ ঘণ্টা পরিষেবা দিন, তারপর প্রাইভেট প্র্যাকটিস করুন।’ পাশাপাশি, সরকারি হাসপাতালের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের নিয়ম শিথিল করে সেটি ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন তিনি।
এই সিদ্ধান্তকে চিকিৎসক মহলের একাংশ স্বাগত জানালেও, কিছু চিকিৎসক প্রশ্ন তুলেছেন সরকারি হাসপাতালে পরিকাঠামোর উন্নতি নিয়েও। একজন সিনিয়র রেসিডেন্ট বলেন, ‘বেতন বৃদ্ধি স্বস্তির খবর, কিন্তু কর্মস্থলের সমস্যা না মেটালে তা কতটা কার্যকর হবে?’
এ দিন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তারদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সিদ্ধান্তের পর চিকিৎসক মহলে আরও উৎসাহ ছড়িয়ে পড়ে।
রাজ্য সরকার একদিকে চিকিৎসকদের স্বস্তি দিতে বেতন বাড়িয়েছে, অন্যদিকে সরকারি পরিষেবার মানোন্নয়নের জন্য নিয়ম কড়া করেছে। চিকিৎসা ব্যবস্থার এই নতুন পরিবর্তন কতটা কার্যকর হয়, সেটাই এখন দেখার।