ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে কত আসন জয় লক্ষ্য তৃণমূলের? টার্গেট নির্ধারণে একই সুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। অনুষ্ঠানের শুরুর দিকে দলের ‘সেনাপতি’ জানিয়েছিলেন, অন্তত ২১৫ আসন জেতার লক্ষ্যে ঝাঁপাতে হবে দলীয় নেতা-কর্মীদের। বক্তব্যের শেষের দিকে সেই একই সুর শোনা গেল মমতার গলায়। জানালেন, অভিষেক যা বলেছে সেটাই সঠিক কথা। যা ওরা বলতে পারে সেটা তো আর আমি সব সময় বলতে পারি না। আর এইভাবেই দুজনেই এক সুরে বুঝিয়ে দিলেন তাঁরা অভিন্ন নয় এক বৃন্তে দুটি ফুল হয়ে কাজ করছেন তাঁরা এই মা মাটি মানুষের দলের কর্মী হয়ে। এটাই দুজনের স্ট্র্যাটেজি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন তিনি দলের কর্মী। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলছেন তিনিও দলের কর্মী। ঠিক যেখানে শুধু কেনো মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আছে সেকেন্ড ইন কমান্ড এর ছবি নেই। তিনি তাহলে কি করবেন আসবেন কি আসবেন না এমন প্রসঙ্গ উত্থাপন হয়েছে সংবাদমাধ্যমে এমনকি নানা রকম ভাবেই। সেই সময় একসাথে একজন অপরজনকে সমর্থন করে বুঝিয়ে দিলেন কোনোও ভেদাভেদ ফারাক আর দুরত্ব নেই তাঁদের মধ্যে। এটা যাঁরা মনে করেন তারা ভুল করেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভাষণের শেষ পর্বে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এর টার্গেট এর কথায় সিলমোহর দেন। এমনকি তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন ভোট এলেই এজেন্সির আক্রমণ বাড়ে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, শুধু বিধানসভা ভোটে আসনের টার্গেট নয়, বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে এজেন্সির তৎপরতা থেকে ভোটার তালিকায় কারচুপি, দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা, একের পর এক ইস্যুতে দুজনের সুর ছিল এক্কেবারে একরকম। এদিন দুজনেই স্পষ্ট করে দিলেন, তৃণমূলের পার্টি লাইন একটাই। সেখানে কোথাও কোনও বিভাজন নেই। বাংলার সম্মান রক্ষার্থে দলের সকল নেতাকর্মী একসঙ্গে লড়াই করবেন। চতুর্থবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসাতে জানপ্রাণ দিয়ে লড়াই করতে প্রস্তুত সকলে। সেখানে কোনোও দ্বিমত নেই কোনো ভেদাভেদ নেই কোনোও দূরত্ব নেই। যা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মাথাব্যথা আছে তাঁদের কোনোও চিন্তা নেই।