বাংলাদেশে এখন অস্থিরতার ছোঁয়া। সেদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই আসছে নানা অশান্তি ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির খবর। এমনকী দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানও। এমতাবস্থায় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নতুন করে নির্মাণ করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানালেন বাংলাদেশের বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল সংলগ্ন মাঠে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কয়েক হাজার নেতা ও কর্মীর উপস্থিতিতে বিএনপির বর্ধিত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে একথা বলেন তিনি।তাঁর অভিযোগ এখনও ফ্যাসিস্টদের দোসর ও বাংলাদেশের শত্রুরা গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্জন নস্যাৎ করতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যদিও খালেদা জিয়া এখন চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আছেন। তাঁর বক্তব্য আগে থেকেই রেকর্ড করে রাখা হয়েছিল। তিনি গঠিত হওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন করানোর দাবি জানান।
অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে ইতিমধ্যে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে বলে এদিন জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি অভিযোগ করেন কোনও কোনও উপদেষ্টার বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য-মন্তব্য জনগণের জন্য হতাশার কারণ হয়ে উঠছে। তাঁর অভিযোগ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এখনও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে তাঁর দল জনরায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে গণহত্যাকারী-মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করবে বলে জানান তারেক রহমান। অবিলম্বে অন্তর্বর্তী সরকারের আগামী দিনের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার রোডম্যাপ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা ছাড়াও বিএনপির ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ মহানগর জেলা, জেলা ও উপ-জেলা কমিটির নেতারাও অংশ নিয়েছেন।
Leave a comment
Leave a comment