২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যে ভবানীপুরে তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সক্রিয়তা বাড়ছে। একদিকে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নিয়ে মেগা বৈঠক এবং ভোটার তালিকা পরিষ্কারের জন্য বিশেষ কমিটি গঠনের পর, অন্যদিকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভবানীপুরে উপস্থিতি বাড়ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই জল্পনা নতুন মাত্রা পেয়েছে।
গত ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে পরাজিত হন, তবে পরে ওই কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হন। ভবানীপুর তার পুরনো কেন্দ্র এবং নিজ এলাকার বিধায়ক মমতা, তাই এই কেন্দ্রের প্রতি তার বিশেষ মনোযোগ। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে তৃণমূলের মালা রায়ের জয় হলেও, স্থানীয়ভাবে বিজেপি কিছু ওয়ার্ডে এগিয়েছিল, যা শুভেন্দুর আগমনকে আরও জল্পনাময় করেছে।
শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি ভবানীপুরে মিছিল ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে, এবং ভবানীপুরকে নিজের জন্য ‘সহজ’ কেন্দ্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “এখানে তৃণমূলের লোক ছিল না, তবে আমাদের বাহিনী সেখানে কাজ করেছে।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, শুভেন্দু ভবানীপুরে আরও বেশি প্রভাব ফেলতে চান, বিশেষত এখানে ৮০ শতাংশ অমুসলিম ভোটার থাকার কারণে, যেটি নন্দীগ্রামের চেয়ে তার পক্ষে সুবিধাজনক।
এদিকে, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন যে, ভবানীপুর থেকে যদি শুভেন্দু ভোটে লড়েন, তবে জামানত জব্দ হতে পারে। তবে, শুভেন্দু এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানিয়ে না দিলেও, তিনি ভবানীপুরকে একটি সহজ কেন্দ্র বলে মন্তব্য করেছেন। ভবিষ্যতেও কি এখানে মমতা-শুভেন্দুর মুখোমুখি লড়াই হবে, তা এখন সময়ই বলবে।