দিল্লির তিস হাজারি আদালত ৭ বছরের এক শিশুকন্যাকে পাশবিক নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত রাজেন্দ্র ওরফে সতীশকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে, অপরাধে মদত দেওয়ার দায়ে তার বাবা রামশরণকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হয়ে যায় শিশুটি। দুই দিন পর পার্ক থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিল সে। তদন্তে উঠে আসে ভয়ঙ্কর তথ্য—২৭ বছর বয়সি রাজেন্দ্র শিশুটিকে অপহরণ করে যৌন নির্যাতন চালিয়ে খুন করে। রাজেন্দ্র আগেও এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছিল। সেই মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েই ফের এক শিশুকে শিকার বানিয়ে হত্যা করে সে।
চিপস দেওয়ার নাম করে ৭ বছরের শিশুকন্যাকে ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করেছিল রাজেন্দ্র। দিল্লি পুলিশ আদালতে সেই তথ্যপ্রমাণ পেশ করে এবং তার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায়। বিচারক ববিতা পুনিয়া রায়ে বলেন, “প্রথম অপরাধের পর যদি বাবা ছেলেকে শাসন করত, সঠিক-ভুলের শিক্ষা দিত, তাহলে হয়তো এই ঘটনা ঘটত না।”
এই নৃশংস ঘটনায় দিল্লির তিস হাজারি আদালত অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে, অপরাধে মদত দেওয়ার দায়ে তার বাবা রামশরণকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। বিচারক ববিতা পুনিয়া বলেন, “প্রথম অপরাধের পর যদি বাবা ছেলেকে শাসন করত, সঠিক-ভুলের শিক্ষা দিত, তাহলে হয়তো এই ঘটনা ঘটত না।”
এই রায়ের মাধ্যমে আদালত একটি কঠোর বার্তা পাঠিয়েছে যে শিশু নির্যাতন ও হত্যার মতো অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। সমাজে এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
এই রায়ের পর, সমাজের বিভিন্ন স্তরে শিশুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। শিশুদের প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই ঘটনার পর, দিল্লি পুলিশ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি শিশুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এই রায়ের মাধ্যমে আদালত একটি কঠোর বার্তা পাঠিয়েছে যে শিশু নির্যাতন ও হত্যার মতো অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। সমাজে এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।