বাংলার ভোটে ভূতুড়ে ভোটারের নাম উঠে আসতেই রাজনীতির আঙিনায় শোরগোল শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, একাধিক জেলায় ভোটার তালিকায় অস্বাভাবিকভাবে নাম বৃদ্ধি হয়েছে এবং বেশ কিছু জায়গায় ভুয়ো ভোটারের নাম ঢোকানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে। বারুইপুরের চম্পাহাটি পঞ্চায়েত থেকে এমনই একটি খবর সামনে এসেছে, যেখানে হাজার হাজার ভূতুড়ে ভোটারের নাম দেখা গেছে। জানুয়ারিতে প্রকাশিত নতুন ভোটার তালিকায় সাড়ে ১৮ হাজার থেকে বেড়ে ভোটার সংখ্যা ২২ হাজার ৪০০ হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা থেকেও একই অভিযোগ উঠেছে। কোচবিহারের মাথাভাঙা শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে এমনই একটি ঘটনা দেখা গেছে, যেখানে উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার বাসিন্দাদের নাম দেখা গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, বিজেপি বাংলায় দুটি এজেন্সি পাঠিয়েছে, যারা অনলাইনে ভোটার তালিকায় কারসাজি করছে। তিনি দাবি করেছেন, এই এজেন্সিগুলি ফিল্ড সার্ভে না করে, একই এপিক নম্বরে একাধিক মানুষের নাম ঢুকিয়ে ভোটার তালিকায় জালিয়াতি করছে।
এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই একটি কমিটি গঠন করেছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন সুব্রত বক্সী। কমিটির সদস্যরা ভোটার তালিকা নিয়ে মাঠে কাজ শুরু করেছেন। ভোটার তালিকার সঠিকতা যাচাই করতে পঞ্চায়েত সদস্যরা ও দলীয় এজেন্টরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করছেন।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনও ভোটার তালিকা নিয়ে সজাগ হয়ে উঠেছে। কমিশন জেলার প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে এবং অভিযোগ পেলে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ৪ মার্চ, রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক হতে চলেছে।
রাজ্যে ভোটের আগে এই ভূতুড়ে ভোটারের নাম নিয়ে রাজনীতি আরো উত্তপ্ত হতে চলেছে।