সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
দুই রাজ্যে ভোটার কার্ডের নম্বর এক হলেই তা ভুয়া ভোটার হিসেবে গণ্য হয় না। জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। দুই ভোটার কার্ডে দেওয়া তথ্য পোলিং বুথের নম্বর এবং বিধানসভা কেন্দ্র আলাদা থাকে। সে ক্ষেত্রে দুই ভোটারের নাম বা তাদের বাবার নাম যদিও একই হয় তাও তারা ভুও ভোটার হিসেবে গণ্য হতে পারেন না। সংশ্লিষ্ট ভোটার কার্ডে উল্লেখ করা নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রেই তাদের ভোট দিতে হবে। আজ এ কথা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলো জাতীয় নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা অভিযোগ কার্যত নস্যাৎ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। একই এপিক কার্ড নম্বরে একই ভোটারের নাম যার বাবার নামও একই একাধিক রাজ্যে রয়েছে। বাংলার একাধিক জেলায় গুজরাট ও হরিয়ানার ঠিকানা উল্লেখ করা এ ধরনের ভুয়ো ভোটারের সন্ধান মিলেছে বলে গত শুক্রবার নেতাজি ইনডোরের কর্মী সমাবেশ থেকে সোচ্চার হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভুতুড়ে ভোটার বাবুটার ধরতে রাজ্যজুড়ে দলীয় নেতা কর্মীদের অভিযান এবং কর্মসূচিও স্থির করে দেন মমতা। তা নিয়ে পালটা রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর দপ্তরে দরবার করেন রাজ্য বিজেপি নেতারাও। ভোটার তালিকায় গরমিল এবং ভুতুড়ে ভোটার বা ভুয়ো ভোটার নিয়ে রাজ্য রাজনীতি যখন সরগরম ঠিক তখনই এই ধরনের অভিযোগ কে নস্যাৎ করল নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের মতে ‘ইপোনেট’ মঞ্চের মাধ্যমে ভোটারদের তথ্যভাণ্ডার তৈরির আগে বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার কার্ড তৈরির কাজ শুরু হয়। সেজন্যই একাধিক রাজ্যে ভোটার কার্ড বা এপিক কার্ড এর নম্বর এক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে চাপানো তো শুরু হয়েছে সে কারণে এই সমস্যা বা বিভ্রান্তি দূর করতে নির্বাচন কমিশন একটি নির্দিষ্ট নম্বর বা ইউনিক নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে। সব মিলিয়ে ভোটার তালিকা বা ভুয়ো ভোটার নিয়ে রাজ্য রাজনীতির জল যখন গরম তখনই নির্বাচন কমিশনের এই ব্যাখ্যা এই রাজনৈতিক চাপাল উত্তর আদৌ বন্ধ করতে পারে কিনা সেদিকেই লক্ষ্য সকলের।