হাসিনা হীন বাংলাদেশে খুন, ধর্ষণ, হিংসা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে – এমনটাই অভিযোগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের।ডাকাতি, খুন, ধর্ষণের মতো অপরাধ এমন সময় ঘটছে, যখন যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে একটি বিশেষ অভিযান চলছে। আগেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর অভিযোগ ছিল খুন-খারাবি চলছে দেশে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারছে না সরকার। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন গতিও তারা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। এবার মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় একই অভিযোগ তুলল বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি।
বাংলাদেশে এখন অস্থিরতার ছোঁয়া। সেদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই আসছে নানা অশান্তি ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির খবর। এমতাবস্থায় জুলাই গণ অভ্যুত্থানের মর্ম বুঝতেই সরকার ব্যর্থ বলে অভিযোগ করল বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি।প্রথম আলো সংবাদমাধ্যমে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর জনগণের রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক ও নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে নিরাপত্তাই হুমকির মুখে পড়ছে ।রবিবার গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির পক্ষ থেকে কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।অন্যদিকে বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী সারা দেশে হত্যা, খুন, ছিনতাই, ডাকাতির পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি নিয়ে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে।আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসেবে বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে অন্তত ৩৯টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ১০টি ঘটনায় কোনো মামলাই হয়নি।চলতি মাসেও বেশ কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে।
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দলবদ্ধ হিংসার প্রতিবাদ করায় ৯ মহিলা শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং তাঁদের প্রতি অবমাননাকর আচরণ কার্যত যৌন নিপীড়নকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল বলে মনে করে সংগঠনটি।
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি অভিযোগ করেছে, “নিরাপত্তা বিধানের কথা বলে সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা কিংবা যৌথ বাহিনীর একের পর এক অভিযান জনগণের নিরাপত্তার পরিবর্তে হয়রানি ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বাড়িয়েছে।” বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর বিগত কয়েক মাসের কর্মকাণ্ড থেকে স্পষ্ট যে বর্তমান সরকার এর মর্ম বুঝতে ক্রমাগত ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। সরকারকে পরিস্থিতির গুরুত্ব স্বীকার করার পাশাপাশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি।অন্যদিকে আবরার হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী সহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধীদের জেল থেকে পালানোর ঘটনা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কমিটি।
Leave a comment
Leave a comment