প্লে-অফের স্বপ্ন শেষ, দিয়ামানতাকোসের আচরণে ক্ষুব্ধ ব্রুজো
আইএসএলে শীর্ষ ছয়ের দৌড় থেকে ছিটকে গেল ইস্টবেঙ্গল। তবে দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট কোচ অস্কার ব্রুজো। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রথম দিক পর্যন্ত সবকিছু পরিকল্পনা মতোই চলছিল, কিন্তু দিয়ামানতাকোসের লাল কার্ড পুরো চিত্র বদলে দেয়। তাঁর দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে ক্ষুব্ধ ব্রুজো কোনো রাখঢাক না রেখেই ম্যাচের পর নিজের হতাশা প্রকাশ করেন। রবিবার বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ১০ জনের দল নিয়ে ম্যাচ ড্র করতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে।
ম্যাচের শুরুতে ইস্টবেঙ্গল নিজেদের ছন্দেই ছিল। প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ তৈরি করছিল তারা, বলের দখল ছিল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে, আক্রমণেও ধার দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু দিয়ামানতাকোস লাল কার্ড দেখার পরই সব ওলট-পালট হয়ে যায়। একজন খেলোয়াড় কম নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সহজ কাজ নয়, আর সেটাই মাঠে বোঝা গেল। ব্রুজো বলেন, “আমাদের খেলোয়াড়েরা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। যখন আমরা ১১ জন ছিলাম, তখন পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে ছিল। বল আমাদের পায়ে ছিল, বেশ কিছু গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু একজন কমে যাওয়ায় আমরা রক্ষণাত্মক খেলতে বাধ্য হলাম, যা ম্যাচের গতি বদলে দেয়।”
দলের উন্নতি প্রয়োজন বলেও মনে করেন ব্রুজো। তিনি বলেন, “আমরা যদি আরও নিখুঁতভাবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারতাম, তাহলে ফলাফল আমাদের পক্ষেই আসত। বেঙ্গালুরুর শেষ ২৫ মিনিটের চাপ আমাদের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করেছিল, ভাগ্যের জোরে কয়েকটি বল পোস্টে লেগে বেরিয়ে গেছে।”
তবে এখানেই ইস্টবেঙ্গলের লড়াই শেষ নয়। ব্রুজোর নজর এখন এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের দিকে। তিনি বলেন, “এতদিন লক্ষ্য ছিল আইএসএলে সেরা ছয়ে থাকা, কিন্তু এখন আমাদের ভাবতে হবে পরবর্তী ধাপ নিয়ে। চোট সমস্যা কাটিয়ে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।”
এদিকে, বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল মাত্র তিনজন বিদেশি নিয়ে খেলতে পেরেছিল, যা দলকে কিছুটা ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। আনোয়ার আলির চোটও বাড়তি দুশ্চিন্তা তৈরি করেছে। সামনে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ থাকায় ব্রুজো এখন খেলোয়াড়দের চোট ও ক্লান্তি সামলানোর দিকেই মনোযোগ দিচ্ছেন। শক্তিশালী স্কোয়াড নিয়েই এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের জন্য প্রস্তুতি নিতে চান তিনি।
Leave a comment
Leave a comment