ট্যাংরায় তিনজনকে খুনের অভিযোগে প্রসূন দে-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। লালবাজার সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেই তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। গতকাল NRS হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই প্রসূনকে ট্যাংরা থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অবশেষে, প্রসূন দে-কে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ৬ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখা হবে।
প্রসূন দে আদালতে জানিয়েছেন যে তিনি আইনজীবী রাখতে চান না এবং ওকালতনামায় সই করছেন না। তিনি বলেন, “চার্জশিট হলে আইনের হাত ধরে মৃত্যুর রাস্তা বেছে নিতে চাই।” লিগ্যালএইডের আইনজীবী জানান, বিনা পয়সায় সরকারি আইনজীবী পাওয়া যাবে, তবুও প্রসূন দে আইনজীবী রাখতে অস্বীকার করেছেন। বিচারকের প্রশ্নের মুখে প্রসূন দে ঘাড় নেড়ে ‘না’ বলেন এবং পুলিশ হেফাজতে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রসূন দে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে তিনি ধারাল অস্ত্র দিয়ে তার বৌদি ও স্ত্রীকে খুন করেছেন। তবে প্রণয়ের নাবালিকা কন্যাকে খুনের ঘটনায় এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, প্রণয় দে পায়েসের মধ্যে বিষ মিশিয়েছিলেন এবং প্রসূন বালিশ দিয়ে মুখ চেপে বৌদি ও স্ত্রীর হাতের শিরা-গলা কেটেছিলেন। প্রসূনের স্ত্রী রোমি বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন, তাই তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কাছে ট্যাংরাকাণ্ডে জখম কিশোর চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে। কিশোরের দাবি, প্রসূন দে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করেছিলেন। নিয়মিত যোগাভ্যাস ও জিম করার ফলে কিশোর অনেকক্ষণ নিঃশ্বাস বন্ধ করে থাকতে পারত এবং মরে যাওয়ার ভান করে পড়ে ছিল। এরপর তাকে ফেলে রেখে বাবা ও কাকা ছাদে চলে যান। কিশোর আরও দাবি করেছে, পরিবারের ব্যবসা ডুবে গেছিল এবং আলোচনা চলাকালীন তাকে ও তার বোন প্রিয়ম্বদাকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে কিশোর দাবি করেছে, অন্য কোনও উপায়ে রোজগারের পরামর্শ দিতে পারত সে।