যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবারের ঘটনার পর উত্তেজনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) সরাসরি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে বড় ধরনের সংঘর্ষের দিকে ইঙ্গিত করছে। দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পর, ABVP-র রাজ্য সম্পাদক অনিরুদ্ধ সরকারও একই সুরে শোনা গেছেন।
শনিবারের ঘটনাটি ছিল বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে এক বিশাল প্রতিবাদ। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির ধাক্কায় এক ছাত্র আহত হন এবং এর কিছু সময় পর শিক্ষামন্ত্রীও বিক্ষোভের মুখে পড়েন। এরপর, গোটা পরিস্থিতি নিয়ে ABVP ও বিজেপি সুর চড়িয়ে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনকে লক্ষ্য করে তোপ দাগে।
এদিন ABVP-র রাজ্য সম্পাদক অনিরুদ্ধ সরকার বলেন, “যাদবপুরে আমাদের সংগঠন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করতে প্রস্তুত। যে ভাষা অন্যরা বোঝে, আমাদের জবাবও সেই ভাষাতেই হবে।” এর পর, সোমবার সন্ধ্যায় আরও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ABVP এবং বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে উপস্থিত হয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান। গেটের উপর পতাকা ছিঁড়ে ফেলা এবং বিরোধী পতাকা লাগানোর ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র ধস্তাধস্তি হয়।
এছাড়া ABVP আরও অভিযোগ করেছে যে, IPAC-এর মদতে TMCP এবং SFI-র মধ্যে অঘোষিত জোট চলছে। তাদের দাবি, রাজ্যে ছাত্র রাজনীতিতে এক মৃতপ্রায় আদর্শকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চলছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি বর্তমানে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে। ABVP-র ঘোষণার পর পুরো ক্যাম্পাসে এক ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এখন দেখার বিষয় হবে, পরিস্থিতি কীভাবে এগিয়ে যায় এবং কী ধরনের রাজনৈতিক পালাবদল সামনে আসে।