বীরভূমের লাভপুর থানার বাবনা গ্রামের বাসিন্দা লক্ষণ মুখার্জি ও বনশ্রী মুখার্জি। দোকানে কাজ করে যৎসামান্য আয়ে দিন গুজরান করতেন দুই স্বামী-স্ত্রী। ইতিমধ্যেই ব্যাংক থেকে অনেক টাকার লোনও করেছিলেন লক্ষণ বাবু বলে জানা যায়। সেই টাকার লোন পরিশোধের চাপ আসছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। কিভাবে এত টাকার লোন পরিশোধ হবে তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন তাঁরা। লক্ষণবাবুর ভাই রামগোপাল মুখার্জি জানিয়েছেন দু তিন জায়গায় লোন করেছিলেন লক্ষণ বাবু । কিছু লোনের কিস্তি ছিল সাপ্তাহিক ও মাসিক। বেশ কয়েকদিন ধরে সেই কিস্তির টাকার চাপ বাড়তে থাকে । সেই পরিস্থিতিতে চাপে পড়েই এই আত্মঘাতী বলে জানান লক্ষণ বাবুর ভাই। গতকাল থেকেই স্বামী স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না আজ দুপুর বেলায় হঠাৎ লক্ষণ বাবুর ভাইয়ের কাছে খবর যায় দুই স্বামী-স্ত্রী কোপাই নদীর ধারে চালে দেওয়া সেলফস বিষ খেয়েছেন দুজনেই। এ খবর শোনা মাত্র তড়িঘড়ি বাড়ির লোকজন কোপাই নদীর ধার থেকে দুই স্বামী-স্ত্রী কে উদ্ধার করে বোলপুর এর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসে। কিন্তু চিকিৎসায় সারা মেলেনি তাদের দুজনের। প্রথমে স্ত্রী ও তার কিছুক্ষণ পরেই স্বামীর মৃত্যু হয়।পরিবারের অভিযোগ, ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলি, যে পরিবারকে ঋণ দিচ্ছে তা তারা কোন কিছু না দেখেই ঋণ দিচ্ছে, যার ফলে সেই পরিবারটি পরিশোধ করারও ক্ষমতা থাকছে না। পরিবারের লোকজন সরাসরি ঋণ প্রদানকারী সংস্থাকেই দায়ী করেছেন এই মৃত্যুর জন্য, তাদের মানসিক চাপের জন্যই তারা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানান তাঁরা। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।