সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
যাদবপুর কান্ডের পর এবার রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকের ডাক রাজ্যপাল তথা পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোসের। আজ বিকেলে রাজভবনে উপাচার্যদের ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ ভবন সূত্রে জানানো হয়েছে এই বৈঠকের কর্মসূচি পূর্ব ঘোষিত। যদিও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অশান্তির ঘটনার পর এই বৈঠক নিয়ে যথেষ্ট উন্মাদানা তৈরি হয়েছে প্রশাসনিক মহলেও। বিশেষ করে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে হিংসা বা মারামারির ঘটনা কেন বাড়ছে তা জানতে চান রাজ্যপাল। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় গুলো কি ভূমিকা পালন করেছে বা করা উচিত তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। একইসঙ্গে এ ধরনের হিংসা বা অশান্তির ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বা প্রশমনে রাজ্য প্রশাসনের কি ভূমিকা? তারা কতটা এ ব্যাপারে সদর্থক ভূমিকা পালন করেছেন সে ব্যাপারেও উপাচার্যদের কাছ থেকে শুনতে চান রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। এই বৈঠকে যে সকল উপাচার্যরা স্বশরীরে রাজভবনে হাজির থাকতে পারবে না তাদের অনলাইনে বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অসুস্থ অন্তবর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত অনলাইনেও এই বৈঠকে যোগ দেবেন কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বস্তুত, রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি বা ছাত্র-শিক্ষক অশান্তির ঘটনায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের বিবাদ নতুন কোন ঘটনা নয়। বিশেষ করে উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে এই বিবাদের জল হাইকোর্ট তথা সুপ্রিম কোর্টেও গড়িয়েছিল। রাজ্য-রাজ্যপাল বিবাদ প্রশমনে সুপ্রিমকোর্টকেও সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে হয়। আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মতো স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তরুণী চিকিৎসকের খুন হওয়ার ঘটনা থেকে শুরু করে সম্প্রতি দেশের মধ্যে অগ্রণী বলে বিবেচিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক অশান্তির ঘটনা রাজ্য রাজনীতি তো নতুন করে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের সাধারণ খুন হিংসার রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের হিংসার ঘটনার বারবারুন তো নিয়ে রাজভবনও উদ্বিগ্ন। উপাচার্যদের বৈঠকে ডেকে রাজ্যপাল রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এ ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলায় একটি সমাধান সূত্র খুঁজে বের করতে চাইছেন বলে রাজভবন সূত্রে জানানো হয়েছে। উপাচার্যদের সঙ্গে কথা বলার পর রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানদের সঙ্গেও তিনি এ ব্যাপারে আলোচনা করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।