ক্রমেই প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ নেতৃত্বে আস্থা হারাচ্ছে বাংলাদেশ।আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি এমন পর্যায়ে যাচ্ছে যে তাতে প্রশাসনের উপর আর ভরসা রাখতে পারছে না বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।শনিবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসেই নারী-নির্যাতনসহ বিভিন্ন পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ চরম উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।এমন অবস্থাকে ‘সার্বিক নৈরাজ্যকর’ পরিস্থিতি বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।শনিবার তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জমানার সঙ্গেও ইউনূস সরকারের তুলনা টেনেছেন বিএনপি মহাসচিব।
বর্তমান বাংলাদেশে নারী নির্যাতনসহ মহিলাদের বিভিন্ন হেনস্থার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে শুক্রবারই গণমাধ্যমে এক বিবৃতি পাঠান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বাংলাদেশের প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী তাতে তিনি বলেছেন, ‘উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের প্রবণতা বিপজ্জনক। এসব ঘটনা ঘটিয়ে নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। নারীদের সম্মান রক্ষা এবং নারী স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। যা নারীদের সংবিধানস্বীকৃত অধিকার।’
এর আগেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ৩২ ধানমন্ডিতে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা সহ নানা ঘটনায় ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছিল বিএনপি।এবার বিএনপির দাবি ইউনূস আমলে নির্যাতনকারীরা আরও উৎসাহিত এবং বেপরোয়া হয়েছে।
তবে শুধু বিএনপি মহাসচিব নন,শনিবার বাংলাদেশে বেড়ে চলা নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিএনপি-র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এদিন ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপি-র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন রিজভী। সেখানে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন! তাঁর কথায়, ‘অন্যান্য অনেক দেশে নারীদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলেও বাংলাদেশে এখনও নারীরা নানা ধরনের বৈষম্য, হিংস্রতা ও শোষণের শিকার হচ্ছেন।’ তবে হাসিনা পরবর্তী সময়ে নারী নির্যাতনের এই বাড়বাড়ন্তের নেপথ্যে বড় কোনও চক্রান্ত থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রিজভী।নারী নির্যাতন রুখতে সুর ছড়িয়েছে সদ্য তৈরি হওয়া বাংলাদেশের জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।শুক্রবারই বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মহিলাদের ওপর হিংসার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইন মোতাবেক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, এদিনই আবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মহম্মদ ইউনুস স্বয়ং। তাঁর বার্তা, বাংলাদেশে এই অরাজকতার সৃষ্টির নেপথ্যে ‘পতিত স্বৈরাচার’-এর হাত থাকতে পারে! প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে, যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে ছিলাম।’
Leave a comment
Leave a comment