কদিন আগেই কোন কোন দেশের নাগরিকরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিপদের তা ঝাড়াই বাছাইয়ের পর পড়শি দেশের সঙ্গে পাকিস্তানকে ও তালিভুক্ত করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।বলা হয়েছিল ‘ভেটিং ও স্ক্রিনিং তথ্য অত্যন্ত অপর্যাপ্ত’ থাকায় আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের মানুষও ঢুকতে পারবে না ট্রাম্পের দেশে। এবার পাকিস্তানে যাওয়ার ক্ষেত্রে নাগরিকদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করল আমেরিকা। বিশেষ কয়েকটি জায়গা উল্লেখ করে সেখানে একেবারেই না-যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পষ্টতই কূটনৈতিকভাবে সংবেদনশীল একটি সতর্কবার্তা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায়শই ভ্রমণ সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে থাকে, তবে পাকিস্তান নিয়ে এমন কড়া ভাষার বিবৃতি অঞ্চলটির সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও ভূরাজনৈতিক টানাপোড়েনের দিকেই ইঙ্গিত করে। এতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে এখন পর্যটক এবং বিদেশিদের উপর হামলার শঙ্কা বেড়েছে। তাই আমেরিকান নাগরিকের পাকিস্তানে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে তা দ্বিতীয়বার বিবেচনা করতে বলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার। যে জায়গাগুলিতে যেতে নাগরিকদের নিষেধ করা হয়েছে- তার মধ্যে রয়েছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি), বেলুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়া।
চরম সতর্কবার্তায় ওই অ্যাডভাইসারিতে আমেরিকা বলেছে,’পাকিস্তানে সহিংস চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলি হামলার পরিকল্পনা অব্যাহত রেখেছে। বালুচিস্তান প্রদেশ এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সন্ত্রাসী হামলা প্রায়শই ঘটে। বড় আকারের সন্ত্রাসী হামলায় অসংখ্য হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, এবং ছোট আকারের হামলাও ঘন ঘন ঘটছে।’ ট্রাম্পশাসিত মার্কিন সরকার বলছে,’সন্ত্রাসবাদ এবং চরমপন্থী উপাদানগুলির চলমান সহিংসতার ফলে নাগরিকদের পাশাপাশি স্থানীয় সামরিক ও পুলিশ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে লক্ষ্য করেও নির্বিচারে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এই পরামর্শে বলা হয়েছে, এই ধরনের হামলা যখন তখন হতে পারে, কোনো আগাম সতর্কবার্তা ছাড়াই। পাকিস্তানের দোকান, বাজার, স্কুল, কলেজ, শপিং মল, বিমানবন্দর, হাসপাতাল এমনকি ধর্মীয় স্থানগুলিতেও সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়ে থাকে। অতীতে এই জঙ্গিরা আমেরিকান নাগরিক, কূটনীতিকদের একাধিক বার ‘টার্গেট’ করেছিল। পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সমালোচনাও করা হয়েছে আমেরিকার ওই বিবৃতিতে।বলা হয়েছে যে পাকিস্তানের বড় শহর যেমন ইসলামাবাদে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পরিকাঠামো তুলনামূলকভাবে উন্নত হওয়ায় কিছু হলে সেখানে তুলনামূলক দ্রুত সাহায্য মিলতে পারে। কিন্তু অন্যত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারই নয়।
আসলে সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়েই চলেছে পাকিস্তান।আড়েবহরে বাড়ছে জইশ–ই–মহম্মদ।জঙ্গি ঢুকিয়ে কাশ্মীরের পাশাপাশি জম্মুতেও উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করে চলেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর জঙ্গি হামলার লঞ্চপ্যাডগুলোও সক্রিয় করেছে পাক সেনা।এবার মার্কিন র্যা ডারেও উঠে এল সন্ত্রাস কবলিত পাকিস্তানের বাস্তব ছবিটা।
Leave a comment
Leave a comment