মোহনবাগানের গৌরবের ইতিহাসে আরেকটি সোনালি অধ্যায় যোগ হল। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে তারা অবশেষে শিল্ড জয়ের স্বাদ পেল। ফাইনালে কঠিন লড়াইয়ের পর মোহনবাগান তাদের প্রতিপক্ষকে হারিয়ে এই ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নেয়।
ফাইনাল ম্যাচের শুরু থেকেই মোহনবাগান আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে। প্রথমার্ধেই মোহনবাগান গোল করে এগিয়ে যায়। দলের তারকা স্ট্রাইকার অসাধারণ দক্ষতায় বল জালে জড়িয়ে দলকে এগিয়ে দেন। মোহনবাগানের রক্ষণভাগও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখায়, ফলে প্রতিপক্ষ গোলের সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষ কিছুটা আক্রমণাত্মক খেললেও মোহনবাগানের ডিফেন্স দৃঢ় অবস্থানে ছিল। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে আরও একটি গোল করে মোহনবাগান জয় নিশ্চিত করে। দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সমন্বয়, গতি ও আক্রমণের ধার স্পষ্ট ছিল।
ম্যাচ শেষে সবুজ-মেরুন সমর্থকরা আনন্দে মেতে ওঠেন। গ্যালারিতে মোহনবাগানের পতাকা উড়তে থাকে। মাঠে সমর্থকদের চিৎকার, বাদ্যযন্ত্র আর আবেগঘন পরিবেশে যেন সবুজ-মেরুন রঙে ঢেকে যায় গোটা স্টেডিয়াম।
মোহনবাগানের কোচ বলেন, “এই জয় আমাদের পরিশ্রম ও একাগ্রতার ফল। খেলোয়াড়রা মাঠে নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। সমর্থকদের ভালোবাসা ও উৎসাহই আমাদের এই জয় এনে দিয়েছে।”
এই জয়ের মাধ্যমে মোহনবাগান প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আগের পরাজয়ের বদলা নিল। সমর্থকদের আবেগ, খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস এবং কোচের কৌশল—সব মিলিয়ে মোহনবাগানের এই জয় ভারতীয় ফুটবলে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।