ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ অবশেষে শুরু হয়েছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল এলাকায় বর্ষার সময় বন্যা এবং জলাবদ্ধতার সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বহু বছর ধরে ঘাটাল এবং সংলগ্ন এলাকার মানুষ বর্ষার সময় জলমগ্ন অবস্থার শিকার হচ্ছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্ষার জল দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে এবং সেতু নির্মাণের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো হবে।
প্রকল্পের আওতায় মালঞ্চা খাল এবং পলাশপাই খালের ওপর নতুন সেতু নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন সেতু তৈরির পাশাপাশি খাল সংস্কারের কাজও চলছে। খালের গভীরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পাড় বাঁধানোর কাজও হাতে নেওয়া হয়েছে, যাতে বর্ষার সময় জল দ্রুত নেমে যায় এবং আশপাশের এলাকা জলমগ্ন না হয়। নতুন সেতু তৈরি হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতে সুবিধা হবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য বিশেষ তৎপরতা দেখাচ্ছে প্রশাসন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “প্রতিবছর বর্ষার সময় আমাদের ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়ে যেত। এখন যদি ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান কার্যকর হয়, তাহলে আমরা অনেকটা স্বস্তি পাব।” প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য একাধিক ঠিকাদারি সংস্থাকে নিযুক্ত করা হয়েছে। সেতু নির্মাণের পাশাপাশি খালের পাড়ে পাকা বাঁধ নির্মাণ, খাল পরিষ্কার এবং খালের গভীরতা বৃদ্ধির কাজও চলছে।
এছাড়া, সেতুর সংযোগ সড়কগুলিকেও মেরামত করা হচ্ছে যাতে যাতায়াতে কোনও অসুবিধা না হয়। স্থানীয় প্রশাসনের আশা, প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হলে ঘাটাল এবং সংলগ্ন অঞ্চলে জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকটাই দূর হবে এবং এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটবে। প্রশাসনের দাবি, আগামী এক বছরের মধ্যে প্রকল্পের প্রধান কাজগুলি শেষ করা সম্ভব হবে। এলাকার মানুষের প্রত্যাশা, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান সম্পূর্ণ হলে বর্ষার সময় আর জলমগ্ন অবস্থার সম্মুখীন হতে হবে না এবং এলাকার সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।