সামান্য খড়ের গাধার আগুন। সেই আগুন নেভাতে ব্যর্থ হল এই রাজ্যের দমকল। ব্যর্থ মানে বারে বারে পুরুলিয়ার ঝালদার দমকল দপ্তরে ফোন করা হলেও কোনো গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনও কর্ণপাত করেনি। ঝালদার মেরেন্দ গ্রামের রামনাথ মাহাতোর খড়ের গাদায় লেগেছিল আগুন। আগুন লাগার পরেই পুরুলিয়ার ঝালদার বন দপ্তরের অফিসে বার বার ফোন করেই যান। কিন্তু রিং হয়ে গেলেও কেউ ফোন তোলেননি বা কোন রেসপন্সও পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে ঝাড়খন্ডের হিন্দেলকো তে কর্মরত তার ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে হিন্দলকোর দমকলের সাথে যোগাযোগ করে দমকলের ইঞ্জিনকে তাদের বাড়িতে পাঠান।
পরে অবশ্য ঝালদা থেকে দলকলের ইঞ্জিন এলেও ঝাড়খন্ড থেকে আসা দমকল ইঞ্জিনের চেষ্টাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
যদিও ঝালদার দমকল বাহিনীর লিডার অর্জুন সোরেন জানান। দমকলের নাম্বার তো ঠিক আছে। অন্য কোন নাম্বারে হয়তো ফোন করেছিল। আমরা আসার আগেই আগুন নেভানো হয়ে গেছিল। কি কারনে আগুন লেগেছিল বলা মুশকিল বাড়ির লোকেই বলতে পারবে। ঝাড়খণ্ড রাজ্যের হিন্দলকো থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের সুপারভাইজার দীপক পান্ডে জানান। বাংলা হোক, আর ঝাড়খন্ড আগুন কোন সীমানা বোঝে না। তারা আগুন লাগার খবর পেয়েছিল তাদের কাজ হলো আগুন নিভিয়ে দেওয়া। তাই তাই তারা সীমানা পেরিয়ে এখানে ঢুকে আগুন নিমন্ত্রণ এনেছেন। এটা তাদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।
তবে সামান্য খড়ের গাদার আগুন নেভাতে সীমানা পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডের দমকল ছুটে এল, অথচ ঝালদা থেকে দমকল ইঞ্জিন পৌঁছাতে দেরি হল কেন? আগুন লাগার মত ঘটনায় কেন এত গাফিলতি দমকলের? সে নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে জেলার এই সীমানার ব্লক এলাকায়।
এদিকে মেরেন্দ গ্রামে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে না আসতেই। পাসের ঝালদা বনাঞ্চলের কাঁসরা, মেরেন্দ, কুলজাঙ্গা পুরনো ঝালদা, গ্রামের মাঝে থাকা জঙ্গলেও লেগে যায় ভয়াবহ আগুন। বনকর্মীদের সাথে গ্রামবাসীরাও সহযোগিতার হাত বাড়ান।আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে মরিয়া চেষ্টা চালান বনকর্মীরা মুহূর্তেই জঙ্গল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কি করে এই জঙ্গলে আগুন লাগল তা নিয়ে ধোঁয়াশায় বনদপ্তর। অনেকেই মনে করছেন কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।
একই সময়ে পরপর দুটি এলাকায় আগুন লাগার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় জেলার প্রান্তিক ব্লক ঝালদা ১ন ব্লক এলাকায়।
Leave a comment
Leave a comment