পরিতোষ সাহা: বীরভূম
অবৈধ বালিঘাট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পর তৎপর বীরভূম জেলা প্রশাসন। লাগাতার কয়েক মাস ধরে বীরভূম জেলার বিভিন্ন ছোট-বড় নদীতে অবৈধ বালিঘাট রুখতে চলছে অভিযান। এবার বীরভূমের লাভপুরের কুয়ে নদীতে অবৈধ বালিঘাটে অভিযান চালিয়ে বাজেয়াপ্ত মজুত বালি। লাভপুর ব্লকের ইন্দাস পঞ্চায়েতের পূর্ব সাহাপুর গ্রামের কুয়ে নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলার খবর পেয়ে লাভপুর ব্লক প্রশাসনের তরফে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করলো বিপুল পরিমাণ বালি। লাভপুর ব্লক ভূমি সংস্কার আধিকারিক, ব্লক প্রশাসন ও লাভপুর থানার পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান চালায়।স্তুপাকৃত বালি একটি ঝোঁপের মাঝে খোলা মাঠে জড়ো করা ছিল। সেই অবৈধ বালি বাজেয়াপ্ত করে। কে বা কারা অবৈধভাবে নদী থেকে বালি উত্তোলন করছিল তার তদন্ত করছে পুলিশ ও প্রশাসন।
জেলার বিভিন্ন প্রান্তে লাগাতার ভাবে নদী বক্ষ থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।যার জেরে চলছে বোমাবাজি থেকে মৃত্যু পর্যন্ত।ফলে একদিকে যেমন প্রশ্ন উঠছিল আইন- শৃঙ্খলা নিয়ে।অন্যদিকে রাজ্য সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্বের থেকে।তা নিয়েই তিতিবিরক্ত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে বসে মুখ্যমন্ত্রী,বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়কে কড়া ধমক দিয়েছিলেন।বেঁধে দিয়েছিলেন সাত দিনের সময়সীমা।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলায় তদন্তে আসেন মুখ্যসচিব ও ডিজি।তারপরও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার কাজ বন্ধ হয়নি।তার প্রমান, আটক হওয়া মজুত বালি।