ট্রাম্প এক বিবৃতিতে জানান, শীঘ্রই রাশিয়ায় যাবে আমাদের প্রতিনিধি দল। আশা করি, রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে। যদি আমরা সফল হতে পারি, তাহলে এই রক্তস্নান ৮০ শতাংশ পর্যন্ত থেমে যাবে। তিনি আরো বলেন, ইউক্রেনের কাছ থেকে শান্তি চুক্তি প্রস্তাব পাওয়ার পরই, তিনি তা মস্কোর কাছে পৌঁছে দিতে তৎপর হয়েছেন।
ট্রাম্পের দাবি, তিনি এমন কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন, যা রাশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থার উপর গুরুতর প্রভাব ফেলবে, তবে তিনি তা করতে চান না কারণ তার লক্ষ্য শুধুমাত্র শান্তি। তার মতে, রাশিয়া ইতিমধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য কিছু ইতিবাচক সঙ্কেত দিয়েছে, আর এখন পুরোপুরি মস্কোর উপর নির্ভর করছে।
ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট, জেডি ভান্স বলেছেন, ফোনে যোগাযোগ হচ্ছে। আমরা আশা করি শীঘ্রই প্রতিনিধি দলগুলো সরাসরি আলোচনা করবে। যদিও, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের কখন এবং কীভাবে আলোচনা হবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে, ট্রাম্প বারবার বলেছেন যে তিনি শান্তির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং তার প্রধান লক্ষ্য যুদ্ধ বন্ধ করা।
এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপে ইউক্রেনের সুর নরম হয়েছে। তারা ৩০ দিনের শান্তিচুক্তির প্রস্তাবে রাজি হয়েছে, যা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সহায়ক হতে পারে। বিশ্বের চোখ এখন মস্কোর উপর, যেখানে ট্রাম্পের মধ্যস্থতাকারী দল শিগগিরই পৌঁছাবে। তাদের চেষ্টা যদি সফল হয়, তবে এটি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের শেষ হওয়ার একটি সম্ভাব্য সূচনা হতে পারে।