পরিতোষ সাহা: বীরভূম
বছর ঘুরতেই বিধানসভা নির্বাচন।হাতে সময় কম।তাই ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে শাসক তৃণমূল।মানুষের মন বুঝতে এবার ‘দুয়ারে’শাসক দলের নেতারা হাজির হওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছেন।মাধ্যম একটি ফর্মের ভিত্তিতে পরিসংখ্যান তুলে আনা।পাশাপাশি নিবিড় জনসংযোগ স্থাপন ও স্থানীয় মানুষজনদের অভাব- অভিযোগ শোনা।আর তার মধ্য দিয়েই শুরু হবে ফাঁকফোঁকর মেরামতির কাজ।ইতিমধ্যেই জেলা তৃনমূল থেকে একটি ফর্ম গোটা জেলার ১১ বিধানসভা,৫ পুরসভা,ও ১৬৭ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রতিটি সদস্যকে তুলে দেওয়া হয়েছে।প্রতিটি পঞ্চায়েত সদস্য ও কাউন্সিলারদের কাজ এই ফর্ম নিয়ে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা।
কী আছে সেই ফর্মে? তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা কমিটির ব্যানারে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ছবি সহ ফর্মে উল্লেখ করা হয়েছে সরকারের সমস্ত জনমুখী প্রকল্পের নাম।মোট ৭৮ প্রকল্পের নাম উল্লেখ আছে সেই ফর্মে।এছাড়াও এই ফর্মে উল্লেখ আছে ‘ এলাকার পরিষেবা ও অন্য কিছু নিয়ে কোন অভাব অভিযোগ থাকলে তার বিবরণ।’সেই ফর্ম নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার কাজে নামানো হয়েছে জেলার সমস্ত পঞ্চায়েত সদস্য,কাউন্সিলারদের। এই পরিসংখ্যান সংগ্রহ করার কাজেও দলীয় ভাবে অঞ্চল কমিটি,বুথ কমিটির সমস্ত সদস্যদের নামানো হয়েছে।তৃণমূল সূত্রে খবর,মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গোটা রাজ্যে এই ফর্ম দেওয়া হয়েছে।তাতে সরকারী বিভিন্ন পরিষেবার কথা উল্লেখ আছে।বীরভূম জেলাও তা থেকে বাদ যায়নি।জেলা নেতৃত্ব বেশি জোড় দিতে চাইছেন পৌরসভা গুলিতে।কারণ,গত লোকসভা নির্বাচনে জেলার প্রতিটি পৌরসভায় বিজেপির থেকে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল।ফলে এই ফর্মের মাধ্যমে পৌর এলাকার ভোটারদের মন বোঝা যাবে।বোঝা যাবে কাউন্সিলারদের জনসংযোগ।তা আগামীদিনে পুরভোটে প্রার্থী নির্বাচনে কাজে লাগবে।এছাড়াও বিধানসভা নির্বাচনের আগে জনসংযোগ বৃদ্ধি করা, সরকারের ইতিবাচক দিক তুলে ধড়াও মূল উদ্দেশ্য।সেক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যানের মধ্য দিয়ে ফাঁকফোঁকর মেরামত করা হবে বলে জানা গেছে।
তৃণমূল কোর কমিটির চেয়ারম্যান বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন,“ রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মতো বীরভূম জেলা এই ফর্ম তৈরি করেছে।এই ফর্ম নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় ঘুরে দেখবেন,কেউ কোন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন কিনা।তার সাথে মানুষের বিভিন্ন অভাব-অভিযোগ শোনা হবে।এর মাধ্যমেই জনসংযোগ আরো নিবিড় হবে।যেমন ভাবে ভোটার তালিকা দেখা হচ্ছে।একইভাবে এই কাজটিও করা হচ্ছে।সমস্ত পরিসংখ্যান জেলা নেতৃত্বের কাছে জমা পড়ার পর তা খুঁটিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যদিও এই বিষয় নিয়ে তেমনভাবে মাথা ঘামাতে নারাজ বিজেপি।বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সাধারণ -সম্পাদক শ্যামসুন্দর গঁড়াই বলেন,“ এই ফর্ম নিয়ে তৃণমূল যতই বাড়ি বাড়ি যাক,লাভ কিছুই হবে না।কারণ,মানুষ এখন জানেন,সবকিছুই কেন্দ্রের প্রকল্প।সেগুলি নাম পরিবর্তন করে রাজ্য অন্য নাম দিয়ে চালাচ্ছে।এই রকম ফর্ম বিজেপি আগেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুঝিয়ে এসেছে।সুতরাং,লাভ কিছুই নেই।ছাব্বিশে বিজেপি আসছেই।”