বাংলাদেশ জুড়ে এখন জনমানসে হাসিনা বিরোধীতা।পাশাপাশি তাঁর সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশের পাশাপাশি একাধিক মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।তাঁর বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে নির্বাচন করা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।এমন পরিস্থিতিতেই শেখ হাসিনা বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী হিসাবেই ফিরবেন বলেই জানিয়ে দিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ তথা মার্কিন আওয়ামী লীগের নেতা রাব্বি আলম।সংবাদসংস্থাকে দেওয়া রাব্বি আলমের সাক্ষাৎকারের সূত্র উল্লেখ করে হিন্দুস্থান টাইমস এই তথ্য জানিয়েছে। রাব্বি আলমের দাবি, “হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিরে আসছেন। তরুণ প্রজন্ম ভুল করেছে, কিন্তু এটা তাঁদের দোষ নয়, তাদের সঙ্গে কারসাজি করা হয়েছে।” ইউনুস সরকারের দিকে তোপ দেগে তিনি জানিয়েছেন, “আমরা চাই বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করুন এবং বলতে চাই… যেখান থেকে এসেছিলেন সেখানে ফিরে যেতে।”
রাব্বি আলমের এমন সাক্ষাৎকার ঘিরেই জল্পনা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমন্ডলে দীর্ঘ সময় ধরে কোনও কর্মসূচী নেই আওয়ামী লীগের। গণ-অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে এবং গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া দল আওয়ামী লীগের জুটেছে ফ্যাসিবাদের তকমা। এমন পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনাসহ এই দলের নেতাদের একটা বড় অংশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে চলে গেছেন। দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবিও নতুন করে সামনে এনেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
এরই পাশাপাশি বাংলাদেশের মাটিতে ফের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ফের জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরসহ সারা দেশে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের হত্যা-নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। সেই সেই মামলায় রায়ে বুধবার মুজিবকন্যার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
পাশাপাশি একদিন আগেই বাংলাদেশে তাঁর সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই দেশ ছাড়েন হাসিনা। মুজিব কন্যা ও তাঁর পরিবারের সমস্ত সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছিল বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন। সেই কমিশনের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতেই মঙ্গলবার নির্দেশ দেয় আদালত। এরই সঙ্গে হাসিনার গোটা পরিবারের ১২৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ক্রোক করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টানা প্রায় দেড় দশক ধরে যিনি বাংলাদেশে সরকার প্রধান ছিলেন, যাঁর বাবা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, সেই শেখ হাসিনার ও তাঁর পরিবারের প্রায় আর কোনও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তিই আর বাংলাদেশে রইল না।
আওয়ামী লীগ থেকে তাঁর নেত্রী শেখ হাসিনার এমন পরিস্থিতিতে তাঁর ঘনিষ্ঠ তথা মার্কিন আওয়ামী লীগের নেতা রাব্বি আলমের এমন বার্তা চমকে দিয়েছে সকলকে।তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে উপস্থিতি না থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনও সরব আওয়ামী লীগ,ছাত্র লীগ সহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন। ফেসবুকে এসে অডিও বার্তায় শেখ হাসিনা নিজেও ফেরার বার্তা দিয়েছেন,সকলকে অপেক্ষা করতে বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন।কিছুটা হলেও সেই একই বার্তা দিয়েছেন রাব্বি আলম।আওয়ামী লীগে এই নেতা শেখ হাসিনার জন্য নিরাপদ ব্যবস্থা করার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বলেছেন আমরা ভারতের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ।
Leave a comment
Leave a comment