আমেরিকার টেক্সাসে আয়োজিত এক বিশাল সাংস্কৃতিক উৎসবে মুখ্য আকর্ষণ হিসেবে নাম ঘোষিত হয়েছিল বলিউড সুপারস্টার হৃতিক রোশনের। আয়োজকদের দাবি ছিল, এই তারকাকে পাওয়া যাবে একেবারে কাছ থেকে, থাকবে আলাপচারিতা ও ছবি তোলার সুযোগ। এমন প্রতিশ্রুতিতে ভরসা রেখে অনেকেই ১.২ লক্ষ টাকার মতো দামের টিকিট সংগ্রহ করেন।
কিন্তু বাস্তবে যা ঘটল, তা ছিল হতাশাজনক। হৃতিককে দূর থেকে মাত্র কিছুক্ষণ দেখা গিয়েছে—কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত অধরাই থেকে যায়। ক্ষুব্ধ দর্শকেরা সামাজিক মাধ্যমে আয়োজকদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। কেউ বলছেন—এ যেন এক সাজানো প্রতারণা। আয়োজনের দুর্বলতা ও প্রতিশ্রুতির ফাঁকফোকর নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক।
একজন ভক্ত সামাজিক মাধ্যমে হতাশা প্রকাশ করে লেখেন, হৃতিকের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর আশায় তিনি প্রায় ১৫০০ ডলার খরচ করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তাঁকে ফিরতে হয়েছে পুরোপুরি হতাশ হয়ে।
একটা ছবিও তোলা সম্ভব হয়নি। ওই অনুরাগীর অভিযোগ, হৃতিক মাত্র আধাঘণ্টার জন্য মঞ্চে উঠেছিলেন, আর তখনও দর্শকদের কাছে পৌঁছনোর কোনও সুযোগ ছিল না। নিরাপত্তার কারণে সবাইকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়। ফলে বহু দর্শকই মনে করছেন, আয়োজকেরা প্রতারণা করেছেন এবং এই অভিজ্ঞতা ছিল পুরোপুরি হতাশাজনক।
অনুষ্ঠানের শুরু থেকেই অব্যবস্থা ও বিশৃঙ্খলা নজরে পড়লেও, হৃতিকের টিমের তরফ থেকে এ নিয়ে কোনও ধরনের বিবৃতি বা ব্যাখ্যা এখনও দেওয়া হয়নি।
ভক্তদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধছে। টিকিটের অতিকায় মূল্য দিয়েও যদি অপমান আর অস্বস্তি মিলে, তাহলে এমন অভিজ্ঞতার দরকার কী? সামাজিক মাধ্যমে একের পর এক প্রশ্ন উঠে আসছে—কেন এমন বিশৃঙ্খল আয়োজন? কেনই বা শিশুদের সঙ্গে এমন আচরণ? সত্যিই কি তারকাদের প্রতি ভালোবাসা দেখানোর এটাই পরিণতি? আয়োজনের নাম করে যদি অপমানই শেষ প্রাপ্তি হয়, তাহলে ভালোবাসা কি এমন মূল্য চায়?