‘ক্রিকেটের উত্তেজনার মাঝেও ভ্রাতৃত্বের গল্প ফুটে উঠল সোমবার রাতে ওয়াংখেড়েতে। আইপিএলের এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন বেঙ্গালুরু দল ২২১ রানের বিশাল স্কোর খাড়া করে হার্দিকের মুম্বইকে ১২ রানে হারায়। ম্যাচে হার্দিক লড়াই করলেও শেষ হাসি হাঁসেন দাদা ক্রুনাল ।
তবে এই হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা দুই ভাইয়ের সম্পর্ককে একটুও প্রভাবিত করতে পারেনি। বরং ম্যাচ শেষে দুই ভাইয়ের আলিঙ্গন, হাসি, কথোপকথন ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে, যা স্পষ্ট করে দেয়—এই সম্পর্ক শুধুই রক্তের নয়, আত্মারও।
খেলা শেষে ক্রুণাল বলেন, “জানতাম ম্যাচে যে-ই জিতুক, অন্তত একজন পাণ্ডিয়া খুশি থাকবে। হার্দিক অসাধারণ খেলেছে। আমরা দু’জনেই জয়ের জন্য মরিয়া ছিলাম। তবে ভাইয়ের বিরুদ্ধে জেতার পর একটা আবেগ তো থাকেই।”
হার্দিক পাণ্ডিয়া ব্যাট হাতে বেশ কিছু নজরকাড়া শট খেললেও, দলের হার আটকাতে পারেননি। ম্যাচে লড়াকু মনোভাব দেখালেও কাঙ্খিত ফল মেলেনি। তবে ব্যক্তিগত সাফল্যের নিরিখে হার্দিক কিছুটা এগিয়েই রয়েছেন।
চলতি মরসুমে চারটি ম্যাচে বল হাতে তুলে নিয়েছেন ১০টি মূল্যবান উইকেট। অন্যদিকে, ক্রুণাল এখনও পর্যন্ত নিয়েছেন ৭টি উইকেট। যদিও এই পরিসংখ্যান দুই ভাইয়ের দক্ষতা ও প্রয়াসকে পুরোপুরি প্রকাশ করতে পারে না। দুজনেই নিজের মতো করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, এবং পারফরম্যান্সের ওঠানামা থাকলেও ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে দুই পাণ্ডিয়ারই ভূমিকা আলাদা করে নজর কাড়ছে।
পান্ডিয়া ভাইদের মধ্যে যতই প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকুক না কেন, সেই লড়াই কখনওই সম্পর্কের উষ্ণতায় ছায়া ফেলে না। মাঠে দুই ভাই দু’টি বিপরীত দলের জার্সিতে নামলেও, হৃদয়ের টান একটুও কমে না।
খেলার উত্তাপ পারফরম্যান্সের চাপ, সব কিছুর মাঝেও ভাইয়ের জন্য গর্ব আর অনুভবটা থেকেই যায়। শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ড যাই বলুক, ক্রিকেট হয়তো একজনকে বিজয়ী করে, কিন্তু সম্পর্কের এই জয় সবসময়ই বড়ো হয়ে ওঠে।