ওয়াকফ সংশোধনী বিলের প্রতিবাদ ঘিরে রীতিমতো অশান্তি ছড়াল মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে। ৮ এপ্রিল উমরপুরে জাতীয় সড়ক অবরোধ ঘিরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। জাতীয় সড়কে পাথর ছোড়া, পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানো, লাঠিচার্জ এবং টিয়ার গ্যাস—সব মিলিয়ে এলাকায় কার্যত খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এই ঘটনার পরেই রাজ্যের মন্ত্রী তথা জমিয়তে উলেমা-এ-হিন্দ নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী প্রকাশ্যে মুখ খোলেন এবং সরাসরি আঙুল তোলেন রাজ্য প্রশাসনের দিকেই। তাঁর বক্তব্য, সিপিএম জমানাতেও বহু আন্দোলন করেছি। কিন্তু সিপিএম-এর পুলিশ আমাদের উপর লাঠিচার্জ করেনি। তাহলে এখন কেন পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হল?
তিনি আরও বলেন, আমরা হিংসা চাই না। হিংসা হলে আন্দোলন মাঝপথে থেমে যাবে। কিন্তু যদি হিংসা না হয়, তাহলে আন্দোলন নানা রূপ নেবে। শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন করাই উচিত।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ৮ এপ্রিল জাতীয় সড়ক অবরোধ চলাকালীন বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ প্রথমে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে, পরে লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় দু’জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন বলেও দাবি প্রশাসনের।
গত কয়েক দিন ধরেই মুর্শিদাবাদের সুতি, সামশেরগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জে ধারাবাহিকভাবে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় বিক্ষোভ চলছিল। পুলিশের কড়া নজরদারিতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হলেও ৮ এপ্রিল উত্তেজনা চরমে ওঠে। অবরোধকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন।
প্রশ্ন উঠছে—আন্দোলনের নামে হিংসা কতটা যুক্তিযুক্ত? আবার, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের এই ভূমিকা কতটা গ্রহণযোগ্য? সিদ্দিকুল্লার বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তুমুল চর্চা।