আর তিনদিন, তারপরেই শেষ হয়ে যাবে চৈত্র মাস। একটা বছর দেখতে দেখতে শেষ সীমানায়! এই সময়ে প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হয় আমজনতার। গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ারই কথা। কিন্তু বর্তমান আবহাওয়ার হালচাল সেই কথা বলছে না। চৈত্র মাসের শেষেই যেন নতুন অবতারে হাজির ফাগুনের মন ভালো করা আমেজ। তাপমাত্রা একলাফে বেশ খানিকটা কমে গেল একরাতের ঝড়বৃষ্টিতেই। আবহাওয়া অফিসের তরফে দেওয়া রিপোর্ট বলছে, কলকাতায় একরাতে পারাপতন হয়েছে ৪ ডিগ্রি।
আবহাওয়া অফিস আগেই অবশ্য পূর্বভাস দিয়েছিল যে, বৃহস্পতিবার ঝড়বৃষ্টি হতে করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলায়। সেই পূর্বাভাস সত্যি করে রাতে বিভিন্ন জেলায় ঝড়বৃষ্টিও হয়। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সেই ঝড়বৃষ্টির জেরেই চৈত্র মাসের শেষ লগ্নে তাপমাত্রা বেশ অনেকটাই নেমে গিয়েছে। ফাগুনের আমেজ পাওয়া গিয়েছে শুক্রবার সকালেও। বৃহস্পতিতে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কেমন থাকবে চৈত্র মাসের বাকি দিনগুলির আবহাওয়ার পরিস্থিতি? আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে যে, বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টি হতে পারে চৈত্র মাসের বাকি দিনগুলিতেও। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। এমনিতে চৈত্র মাসের শেষদিকে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা থাকে। তবে, এবার আবহাওয়াবিদরা আশ্বস্ত করে বলেছেন যে, সেই আশঙ্কা এবছর নেই। যার কারণে চৈত্রের বাকি দিনগুলি ফাগুনের আমেজে কাটবে। আর বেশ মনোরম আবহাওয়াতেই নববর্ষকে স্বাগত জানাতে পারবেন বাঙালিরা, মেতে উঠতে পারবেন বর্ষ বরণের আনন্দে।
উল্লেখ্য, গতকাল ঝড়বৃষ্টির পর রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে। মৃত ব্যক্তির নাম জুলফিকার শেখ, বয়স ৩৪। সূত্রের খবর, ঝড়ের কারণে এদিন বিদ্যুৎবাহী তার ছিঁড়ে রাস্তায় পড়েছিল। দোকান বন্ধ করে গঞ্জের বাজার থেকে সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন ওই ব্যক্তি। রাস্তায় পড়ে থাকা তার ওই ব্যক্তির সাইকেলে জড়িয়ে যায়। এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় জুলফিকার শেখের।