ঘরে বাইরে সমস্যার শেষ নেই, তবু পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই।রাজনৈতিক জটিলতা,আর্থিক সমস্যার পাশাপাশি বালোচ বিদ্রোহীদের হাতে প্রায়ই নাজেহাল হচ্ছে পাক প্রশাসন।এই অবস্থায় ভারতীয় সেনাকে খাটো করে দেখানোর পাশাপাশি কাশ্মীর নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করলেন পাক সেনাপ্রধান। প্রবাসী পাকিস্তানিদের এক সভাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির বলেন, তাদের কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে তারা একটি ‘উচ্চতর আদর্শ ও সংস্কৃতি’-র অংশ।
এদিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান বলেন, “কাশ্মীর ইসলামাবাদের ‘জীবনরেখা’ ছিল, আছে এবং থাকবে।” তাঁর কথায়, “কাশ্মীর হল পাকিস্তানের জিউগুলার ভেন।“ তিনি আরও বলেন, “আমরা একে ভুলবো না। আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামকে আমরা কখনো ছেড়ে দেব না।” পাশাপাশি তিনি ১৯৪৭ সালের দেশভাগের ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত দুই-জাতি তত্ত্বকেও সমর্থন জানিয়েছেন। জেনারেল মুনির বলেন, “আপনারা পাকিস্তানের কাহিনি আপনার সন্তানদের বলুন। আমাদের পূর্বপুরুষরা বিশ্বাস করতেন যে আমরা হিন্দুদের থেকে জীবনযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রে আলাদা। আমাদের ধর্ম, আচার-অনুষ্ঠান, চিন্তা, আকাঙ্ক্ষা—সবকিছু ভিন্ন। এই বিশ্বাস থেকেই দুই-জাতি তত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন হয়েছিল।”
ভারত ও পাকিস্তানকে দুই আলাদা জাতি হিসেবে তুলে ধরে জেনারেল মুনির বলেন, “আমরা এক জাতি নই। এই কারণেই আমাদের পূর্বপুরুষরা এই দেশ গঠনের জন্য সংগ্রাম করেছিলেন। তাদের এবং আমাদের অনেক ত্যাগের ফসল এই পাকিস্তান। আমরা জানি কীভাবে একে রক্ষা করতে হয়। ভাই ও বোনেরা, ছেলেমেয়েরা—এই পাকিস্তানের কাহিনি ভুলে যেয়ো না। এই গল্প আগামী প্রজন্মকে জানাও, যাতে তাদের পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক কখনো দুর্বল না হয়।”
এদিন কথা প্রসঙ্গে বালোচ বিদ্রোহীদের কথা তোলেন পাক সেনা প্রধান।গত বেশ কয়েকমাস ধরে বালোচ বিদ্রোহীদের দাপটে কাঁপছে পাকিস্তানের পশ্চিম প্রান্ত। পাক সেনার শত চেষ্টা সত্ত্বেও বালোচ বিদ্রোহীদের দমন করা যায়নি। বালোচ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন নিয়েও তিনি কড়া হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “আপনাদের কি মনে হয় এই জঙ্গিরা পাকিস্তানের ভাগ্য বদলে দেবে? আমরা ১৩ লক্ষ ফৌজের ভারতীয় সেনাকেই ভয় পাই না। তাহলে এই জঙ্গিরা কী করে পাক সেনাকে হারাবে?”
দেয়।পাক সেনাপ্রধানের এই ভারত-বিরোধী মন্তব্য দুই দেশের মধ্যকার বিদ্বেষ আরও তীব্র করে তুলতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের জন্য মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের দ্বার খুলে দেওয়ার পর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে ইসলামাবাদ।
Leave a comment
Leave a comment