গত মাসে বাংলাদেশ সরকার আদানির বকেয়া বাবদ ১৭.৩ কোটি ডলার পরিশোধ করলেও, এখনও ৮৪.৩ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এই টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ ইউনুস। সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকার এখন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বরাদ্দ থেকে টাকা কেটে আদানি এবং অন্যান্য বিদেশি কোম্পানির বকেয়া পরিশোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, কৃষি ব্যাঙ্কের ডলারের ঘাটতির কারণে বকেয়া পরিশোধ সম্ভব হয়নি। তবে এখন সরকার অন্য পথ অবলম্বন করেছে। ইউনুস সরকারের অভিযোগ, অতীতে হাসিনা সরকারের অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের কারণে রাজস্বের ওপর চাপ বেড়েছে। এর আগে, বাংলাদেশের কিছু মহল আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি তুলেছিল, তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিল করা সহজ নয়।
আদানির পক্ষ থেকে পূর্বেই সতর্ক করা হয়েছিল যে, বকেয়া না মেটালে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এর ফলে, গত আগস্টের শুরুর দিকে ১৪০০-১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠানো হলেও, বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় তা কমে ৫২০ মেগাওয়াটে দাঁড়ায়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের হাই কোর্টে আদানির বিদ্যুৎ চুক্তির বৈধতা নিয়ে জনস্বার্থে রিট পিটিশন দায়ের হয়েছিল।
আদানির থেকে বাংলাদেশের পাওনার পরিমাণ বর্তমানে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার (৭২০০ কোটি টাকা)। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বকেয়া পরিশোধের জন্য বাংলাদেশকে লেটার অফ ক্রেডিট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তবে সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেয় আদানি। বর্তমানে, কিছুটা বকেয়া মিটানো হলেও, বড় অংশ এখনও বাকি রয়েছে।