বুধবার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র মধ্যে ২৩তম বিশেষ প্রতিনিধি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের পর এটি ছিল প্রথমবারের মতো এমন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। বৈঠক শেষে দুই দেশের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিগুলিতে কিছু পার্থক্য দেখা যায়। চিনের বিবৃতিতে দাবি করা হয় যে, সীমান্ত ইস্যুতে ৬টি বিষয়ে দুই দেশ সহমত হয়েছে, তবে ভারতের বিবৃতিতে এমন কোনো উল্লেখ নেই।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, সীমান্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ২০২০ সালে উত্তেজনার পর এবারই প্রথম এই ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। ভারতের বিবৃতিতে ২০০৫ সালের চুক্তির উল্লেখ নেই, তবে চিনের বিবৃতিতে ওই চুক্তি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যা সীমান্ত সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পূর্ববর্তী কয়েক বছর ধরে ডেপস্যাং ও ডেমচকে ভারতীয় সেনার টহলদারিতে চিনের সেনা বাধা সৃষ্টি করেছিল। তবে, ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে এই দুটি অঞ্চলে ভারতীয় সেনার টহলদারি পুনরুদ্ধার হয়েছে। জানা গেছে, ডেপস্যাংয়ের ওয়াই জংশনে চিনা সেনা স্থায়ী অবকাঠামো তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে ভারতীয় সেনাকে প্যাট্রোলিং পয়েন্টে পৌঁছাতে হয়।
২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত, ডেপস্যাং ও ডেমচকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা প্রত্যাহার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ভারত ও চিনের সেনারা যৌথভাবে সেখানে যাচাই পর্ব সম্পন্ন করেছে এবং আশা করা হচ্ছে, এই অঞ্চলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। ২০২২ সালে গোগরা হট স্প্রিং এলাকায় সেনা প্রত্যাহারের পর ভারত-চিন আলোচনা থমকে যায়, তবে এখন নতুন আশার জন্ম হয়েছে।