মুর্শিদাবাদ থেকে সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া দুই জঙ্গি, মহম্মদ আব্বাস আলি এবং মিনারুল শেখের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই দুই জঙ্গি স্থানীয় যুবকদের যুক্ত করার জন্য মুর্শিদাবাদ ও আলিপুরদুয়ারে সংগঠন বিস্তারের কাজ করত। তাদের লক্ষ্য ছিল অস্ত্র সংগ্রহ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের শিলিগুড়ি করিডরসহ বিভিন্ন জায়গায় নাশকতা চালানো।
এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, এই স্লিপার সেল সদস্যদের কাজ ছিল সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অস্ত্র সংগ্রহ এবং স্থানীয় যুবকদের সংগঠিত করা। তাদের পরিকল্পনা ছিল, শিলিগুড়ি করিডরের মাধ্যমে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এবং ভারতের বিরুদ্ধে কাজকর্ম চালানো। গ্রেফতারের সময় তাদের বাড়ি থেকে ১৬ জিবির পেন ড্রাইভ, মোবাইল ফোন, কিছু বই এবং আই কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্রের মতে, এই দুই জঙ্গির আনসারুল বাংলা টিমের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তাদের কাছে পাওয়া পেন ড্রাইভে বাংলাদেশের এক কট্টরপন্থী নেতার উসকানিমূলক বক্তৃতাও ছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল বাংলা, অসম এবং দক্ষিণ ভারতে গোষ্ঠী সংঘর্ষ সৃষ্টি করা, ছোট ও মাঝারি স্তরের নেতাদের হত্যা করা, এবং নতুন সদস্য সংগ্রহ করে জঙ্গি সংগঠনে রিক্রুটমেন্টের চেষ্টা চালানো।
বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হলো, তারা শিলিগুড়ি করিডরকে অশান্ত করার জন্য পরিকল্পনা করছিল, যা ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সাথে সংযোগ রক্ষা করে। মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার হওয়া এই দুই জঙ্গির জেরা চলতে থাকায় একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে, যা গোয়েন্দাদের কাছে চরম উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।