চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নামে তিন কোটি ৯২ লাখ টাকার ব্যাংক লেনদেনের তথ্য ফাঁস হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) জানিয়েছে, চিন্ময়ের তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এই অর্থ জমা হয়েছিল। তবে অধিকাংশ অর্থ ইতোমধ্যে তুলে নেওয়া হয়েছে। অর্থের উৎস ও জমাদাতাদের খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত চলছে।
এর আগে, গত ৩০ নভেম্বর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৭ জনের ব্যাংক লেনদেন ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করেছিল বিএফআইইউ। পরে তাদের ব্যাংকিং তথ্য বিভিন্ন সংস্থা থেকে চাওয়া হয়। এদিকে, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের একটি সমাবেশে জাতীয় পতাকার অবমাননার দায়ে বিএনপি নেতা ফিরোজ খান মামলা করেন। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। তার গ্রেফতারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের আদালত চত্বরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ চলাকালে সংঘর্ষ ঘটে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ করলে সংঘর্ষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত হন।আইনজীবী হত্যার ঘটনায় চন্দন দাসসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চন্দনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনিই কিরিচ দিয়ে সাইফুলকে কুপিয়েছিলেন। পুলিশের দাবি, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ থেকে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে কোনও আইনজীবী যেন মামলা না লড়েন, সেজন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
