সন্দেশখালিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। মঙ্গলবার সন্দেশখালির ত্রিমণিবাজারে সভা করার কথা ছিল বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর। অনুমতি চেয়ে বিজেপি তিন দিন আগে সন্দেশখালি থানায় আবেদন করে। কিন্তু মঙ্গলবার, সভার ঠিক আগে, পুলিশের তরফে জানানো হয় সভার অনুমতি দেওয়া যাবে না। সোমবার সন্দেশখালিতে প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, সন্দেশখালিতে টাকা ছড়িয়ে বিজেপি গণ-অভ্যুত্থানে মদত দিচ্ছে। এর জবাব দিতে শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা সভার ঘোষণা করেন। সভার আয়োজন ঘিরে বিজেপি তৎপর ছিল।
বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শেষ মুহূর্তে সভার অনুমতি বাতিল করেছে। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, অনুমতি না পেলেও সভা হবেই। শুভেন্দু অধিকারী নির্ধারিত সময়েই সভাস্থলে পৌঁছাবেন। এই পরিস্থিতিতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিজেপি নেতারা পুলিশের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছেন। বিজেপির দাবি, শাসক দলের চাপে পুলিশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিজেপি এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে সন্দেশখালিতে মুখ্যমন্ত্রীর সভার পরপরই শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা সভার ঘোষণা করেন। সেই সময় থেকেই দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছিল। পুলিশের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর এই উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিজেপির সভার বিষয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কঠোর অবস্থান নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।