বাংলাদেশে সম্প্রতি সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় কারণে সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামি লিগও এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে, এবং ভারতের সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই অভিযোগ ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকারের মুখ্য উপদেষ্টার প্রেস একটি বিবৃতি প্রকাশ করে দাবি করেছে যে, ধর্মীয় কারণে কাউকে সরকারি চাকরিতে বঞ্চিত করা হচ্ছে না এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো পোস্টগুলো ভুয়ো।
এই অভিযোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এক অভিযোগ হলো, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলমগির চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশ, তাই এখানে পুলিশ বা সরকারি চাকরিতে মুসলিমরাই অগ্রাধিকার পাবেন।” তবে সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্ধৃতিকে ভুয়ো বলে খারিজ করা হয়েছে।এদিকে, ৪৩তম বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া ৭১ জন সংখ্যালঘু প্রার্থী চাকরির তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। ১৫ অক্টোবরের গ্যাজেট প্রকাশের পর ৩০ ডিসেম্বর সরকার একটি নতুন গ্যাজেট প্রকাশ করে, যার মধ্যে ১৬৮ জনের নাম কাটা পড়েছে। নতুন গ্যাজেটে ১,৮৯৬ জন প্রার্থীকে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যাদের ১৫ জানুয়ারি যোগদান করতে হবে। তবে অভিযোগ উঠেছে যে, বাদ পড়াদের মধ্যে বেশিরভাগই ধর্মীয় সংখ্যালঘু।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বলেছে, এই গ্যাজেট ধর্মীয় বিভেদ স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে এবং বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তারা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে, সংখ্যালঘু প্রার্থীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে নতুন গ্যাজেট প্রকাশ করা হোক। এখনও পর্যন্ত সরকারী পক্ষ থেকে কোনো সুস্পষ্ট জবাব দেওয়া হয়নি।