জাল পাসপোর্ট তৈরির চাঞ্চল্যকর কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর আবদুল হাইকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারীরা। অশোকনগরের বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করার পর জানা গিয়েছে, হোমগার্ডদের কাজে লাগিয়ে টাকার বিনিময়ে ভুয়ো নথিকে বৈধ বলে সই করতেন তিনি।
তদন্তে উঠে এসেছে, অবসরের আগে চার বছর সিকিওরিটি কন্ট্রোল বিভাগে কর্মরত ছিলেন আবদুল হাই। এই সময়ে অন্তত ৫১টি ভুয়ো পাসপোর্টের ভেরিফিকেশনে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন তিনি। বিনিময়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়েছিলেন মোটা অঙ্কের টাকা। এই জালিয়াতির মাধ্যমে বেশ কিছু বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে ভারতীয় পাসপোর্ট পেতে সক্ষম হন।
এই কাণ্ডে ইতিমধ্যেই ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা ৫টি মোবাইল ফোনের ফরেন্সিক পরীক্ষা করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের ধারণা, মুছে ফেলা তথ্যগুলো পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হলে এই চক্রের সঙ্গে আর কারা যুক্ত ছিল তা জানা যাবে।
গোয়েন্দাদের অনুমান, এই জালিয়াতি কাণ্ডে আরও পুলিশকর্মী জড়িত থাকতে পারেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর থেকেই এই চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তের গতি বেড়েছে।
এই কাণ্ডে আবদুল হাইকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। গোয়েন্দারা এই সময়ের মধ্যে পুরো চক্রটিকে ধরা এবং তাদের কার্যপদ্ধতি ফাঁস করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই জালিয়াতির জাল কত দূর পর্যন্ত বিস্তৃত, তা জানতে তৎপরতা শুরু হয়েছে।
