পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে রাজ্যে এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শীতের দাপট বেড়েছে। কলকাতার তাপমাত্রা এক লাফে তিন ডিগ্রি বেড়ে পৌঁছেছে ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জলীয় বাষ্পের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে রয়েছে চারপাশ। রোদ না ওঠায় স্যাঁতসেঁতে ঠান্ডার অনুভূতি সর্বত্রই। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কম থাকার সম্ভাবনা থাকলেও রাতের তাপমাত্রা দিন তিনেক পর ফের কমার ইঙ্গিত মিলেছে। এর মধ্যেই ঘন কুয়াশার কারণে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দৃশ্যমানতা সকাল বেলায় মাত্র ১০০ মিটারে নেমে আসে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্যাট-টু আলো ব্যবহার করে বিমান চলাচল চালু রাখা হয়েছে। তবে কুয়াশার দাপট বাড়ায় বেশ কিছু বিমানের ওঠানামায় বিলম্ব ঘটছে।
শুধু কলকাতাই নয়, দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। গোয়ালিয়র বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা একেবারে শূন্যে নেমে এসেছে। পাটনা ও বারাণসী বিমানবন্দরে ৫০ মিটার দৃশ্যমানতা রেকর্ড করা হয়েছে। পালাম বিমানবন্দরে ১০০ মিটার ও আগরতলা বিমানবন্দরে ২০০ মিটার দৃশ্যমানতা থাকলেও বিমান চলাচলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। শুধু আকাশপথই নয়, কুয়াশার কারণে দেশের সড়ক ও রেলপথেও প্রভাব পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি ও ট্রেন চলাচল ধীর গতিতে হচ্ছে। শ্রীনগর সহ উত্তর ভারতের একাধিক এলাকায় কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে।
আবহাওয়া দফতরের মতে, আগামী কয়েক দিন কুয়াশার দাপট অব্যাহত থাকবে। তবে রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে, যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।