প্রবল ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো লিবারাল পার্টির নেতা পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন। কানাডার সংবাদমাধ্যম দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানিয়েছে, ট্রুডো সোমবার তাঁর সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন বা সর্বোচ্চ বুধবারের মধ্যেই পদত্যাগ করবেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর দফতর এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
ট্রুডো লিবারাল পার্টি ছাড়লেও প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগামী অক্টোবরে কানাডার জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা।
২০১৩ সালে লিবারাল পার্টির নেতৃত্ব নেওয়ার পর ২০১৫ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন ট্রুডো। কিন্তু টানা নয় বছরের শাসনকালে তাঁর জনপ্রিয়তা তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাঁর একাধিক সিদ্ধান্ত বিতর্ক তৈরি করেছে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতিসহ আন্তর্জাতিক নীতি নিয়ে কানাডার অভ্যন্তরে অসন্তোষ বেড়েছে। ২০২৩ সালের সমীক্ষায় দেখা যায়, কানাডার জনগণের একটি বড় অংশ ট্রুডোকে আর সমর্থন করছেন না। কনজ়ারভেটিভ দলের ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা প্রবল।
সম্প্রতি কানাডার উপমুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের আকস্মিক পদত্যাগে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। মন্ত্রিসভায় রদবদল করেও তিনি অস্থিরতা থামাতে পারেননি। লিবারাল পার্টির অন্তত ৫১ জন এমপি ট্রুডোর পদত্যাগের পক্ষে মত দিয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে, প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন আসতে চলেছে। কানাডায় একটি স্থিতিশীল সরকার চায় ট্রাম্প প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে ট্রুডোর পদত্যাগের পর নির্বাচন এগিয়ে আনার দাবিও উঠতে পারে।
ট্রুডোর সরে দাঁড়ানোর পর অভ্যন্তরীণ দায়িত্ব কার হাতে যাবে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে কানাডার রাজনীতি উত্তাল।