মণিপুরে জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি স্টারলিঙ্ক ডিভাইস ঘিরে নতুন বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে, কীভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকা সত্ত্বেও এই ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছিল।গত ১৩ ডিসেম্বর অসম রাইফেলস পূর্ব ইম্ফল জেলা থেকে একটি স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ডিভাইস উদ্ধার করে। ডিভাইসটিতে স্টারলিঙ্কের লোগো ছিল এবং সেটি ব্যবহার করছিল মৈতৈ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। রাউটারে ‘RPF/PLA’ লেখা ছিল, যা রেভোলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট/পিপলস লিবারেশন আর্মি নির্দেশ করে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ স্টারলিঙ্কের মালিক ইলন মাস্ক দাবি করেন, ভারতে স্টারলিঙ্ক পরিষেবা কার্যকর নয় এবং উদ্ধার হওয়া ডিভাইসটি তাদের নয়। তিনি এটিকে “ভুয়ো” বলে উল্লেখ করেন।মণিপুরে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রায় ১৯ মাস ধরে বিভিন্ন সময়ে বন্ধ ছিল। তা সত্ত্বেও এই ডিভাইস ব্যবহার হওয়ায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি এটিকে বেআইনি যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরির অংশ বলে সন্দেহ করছে। এর আগে আন্দামান সাগরে একটি বড় মাদক চক্রের ক্ষেত্রেও স্টারলিঙ্ক ডিভাইস ব্যবহার করার তথ্য উঠে এসেছিল।
স্টারলিঙ্ক ভারতের কাছে লাইসেন্স আবেদন জমা দিয়েছে, তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে তা এখনও অনুমোদিত হয়নি। এর মধ্যেই পাচারকারী ও জঙ্গিদের কাছ থেকে ডিভাইস উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে।টেলিকম মন্ত্রককে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্টারলিঙ্ক থেকে ডিভাইসের মালিকানার বিষয়ে আগেও তথ্য চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু সংস্থা ডেটা গোপনীয়তার নীতি দেখিয়ে তা দিতে অস্বীকার করে।
এই আবহে স্টারলিঙ্ক ডিভাইসের ব্যবহারের তদন্তে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে। দেশবিরোধী কার্যকলাপে স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের ব্যবহার প্রতিহত করাই এখন সরকারের প্রধান লক্ষ্য।