আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় শিয়ালদা আদালতের রায় নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এ ঘটনার বিচারে মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত শনিবার শিয়ালদা আদালত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে। সোমবার তার সাজা ঘোষণা করা হয়, যেখানে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে আদালতের এই রায়কে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারসহ বাংলার বহু মানুষ মনে করেন, এই অপরাধ বিরলের মধ্যে বিরলতম এবং এর জন্য দোষীর মৃত্যুদণ্ড প্রয়োজন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স-এ লিখেছেন, “আমি সত্যিই হতবাক। এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম হিসেবে গণ্য না করার কারণ কী? এই সংবেদনশীল মামলায় আমরা মৃত্যুদণ্ডের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করব।”
হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার দুটি পৃথক ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, যা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির মধ্যে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছিল। তবে আরজি কর কাণ্ডের রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। হুগলির এক নির্যাতিতার মা বলেছেন, “আমরা ভেবেছিলাম ফাঁসি হবে। কিন্তু তা না হওয়ায় হতাশ।”
এই রায়ের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ ও সরকার কড়া অবস্থান নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সঞ্জয়ের পাশাপাশি অন্য অভিযুক্তদেরও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। এখন নজর হাইকোর্টের রায়ের দিকে, যা বাংলার বিচার ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ স্থাপন করবে।