নয়া মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বৈঠকেই চারদিকের নজর কেড়েছে কোয়াড। ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার এই চারদেশীয় অক্ষ থেকে পরোক্ষভাবে চিনকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই অনিশ্চিত দুনিয়ায় কোয়াড বিশ্বের ভালোর জন্য একটি শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
ওয়াশিংটনে ঘণ্টাখানেকের এই বৈঠক থেকে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ অবস্থান নেওয়া হয়। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, কোনওরকম শক্তিপ্রয়োগ বা জোরজবরদস্তি করে স্থিতিশীল পরিবেশে বিঘ্ন ঘটানো হলে তা বরদাস্ত করা হবে না। জয়শংকরের বক্তব্য অনুযায়ী, কোয়াডের মূল লক্ষ্য মুক্ত, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধশালী অঞ্চল নিশ্চিত করা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের শপথগ্রহণের পরই কোয়াড বৈঠক আয়োজনের মধ্যে দিয়ে আমেরিকা বন্ধুদেশগুলির প্রতি নিজের অগ্রাধিকার স্পষ্ট করেছে। মার্কো রুবিও দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ভারতের জয়শংকর, জাপানের তাকেশি ইওয়ায়া এবং অস্ট্রেলিয়ার পেনি ওয়াঙের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
যৌথ বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, কোয়াডের কাজ আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চার দেশ নিয়মিত আলোচনায় ব্যস্ত থাকবে। ভারত ২০২৫ সালে পরবর্তী কোয়াড নেতাদের সম্মেলনের আয়োজন করবে বলেও ঘোষণা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, কোয়াডের এই বৈঠক স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে চারদেশীয় জোট। কোয়াড বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতীক হয়ে উঠতে চায়।
