আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে শিয়ালদা আদালত। বিচারক অনির্বাণ দাস তাঁর রায়ে এই ঘটনাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে মানতে রাজি হননি। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সিবিআই হাই কোর্টে আবেদন করেছে। ২৭ জানুয়ারি বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।
২০ জানুয়ারি শিয়ালদা আদালতে বিচারক অনির্বাণ দাস সঞ্জয় রায়কে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৬৩, ৬৪, এবং ১০৩(১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় দেন। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন। নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে বিচারক সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবিকে নাকচ করেন।
বিচারকের পর্যবেক্ষণ, আদালতের কাজ জনগণের ভাবাবেগের কাছে মাথানত করা নয়। বরং আইনি ব্যবস্থার অখণ্ডতা বজায় রেখে ন্যায়বিচারের বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করতে হবে। রায়ে তদন্তের গাফিলতির বিষয়ও তুলে ধরা হয়েছে।
এই মামলায় সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে বিরোধী দলের নেতারা আওয়াজ তুলেছিলেন। তবে বিচারক যুক্তি দিয়েছেন, এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়। এর আগে রাজ্যে পাঁচটি পকসো মামলায় ফাঁসির সাজা দেওয়া হলেও, এই মামলায় শাস্তি ফাঁসি নয়, বরং আমৃত্যু কারাদণ্ডই যথাযথ বলে মত দেন বিচারক।
সিবিআইয়ের করা তদন্তের গাফিলতিকে রায়ে উল্লেখ করে বিচারক বলেন, আদালতের রায় এমন হতে হবে, যা ন্যায়বিচারের প্রতি মানুষের আস্থা বজায় রাখে।