আজ ২৬ জানুয়ারী ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস। আজ ভারত তার ৭৬ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করছে। দেশ জুড়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। প্রতি বছরের মতো এবারও দেশের সামরিক শক্তি এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রাজধানী দিল্লির কর্তব্য পথে প্রদর্শিত হবে। ২৬ জানুয়ারি সংবিধান বাস্তবায়নের ‘প্ল্যাটিনাম জুবিলি’ উদযাপন করবে আপামর ভারতবাসী।
কর্তব্যপথে আয়োজিত প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রবোও সুবিয়ানতো। ইন্দোনেশিয়ার ৩৫২ সদস্যের মার্চিং এবং ব্যান্ড দলও কুচকাওয়াজে অংশ নেবে। সংবিধান বাস্তবায়নের ৭৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে এই বছর। তাই প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপনের প্রধান আকর্ষণীয় থিম হল ‘গোল্ডেন ইন্ডিয়া: হেরিটেজ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’। বেশ কয়েকটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে ১৬টি ট্যাবলো এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রক, বিভাগ এবং সংস্থাগুলির ১৫টি ট্যাবলো কুচকাওয়াজে প্রদর্শিত হবে।
ইতিমধ্যেই দিল্লিতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ৭০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে। জাতীয় রাজধানী প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ‘উচ্চ সতর্কতায়’ রয়েছে। আধাসামরিক বাহিনীর ৭০ টিরও বেশি কোম্পানি এবং ৭০,০০০ পুলিশ কর্মী শহর জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে। শুধুমাত্র দিল্লি জেলাতেই ১৫,০০০ নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করে ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দর্শক ও অতিথিরাও আসতে শুরু করেছেন কর্তব্য পথে। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের সময়, উদযাপনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ, সকাল ১০:৩০ থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে।
৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তিনি বলেন, “সবাইকে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনেক শুভেচ্ছা। ভারত গণতন্ত্রের জননী, এখানে অনাদিকাল থেকে প্রজাতন্ত্র রয়েছে এবং প্রজাতন্ত্র ও গণতন্ত্রের উত্থান… সংবিধান প্রণেতারা যখন সংবিধান তৈরি করেন, তখন তাদের ধারণা ছিল ৫ বছরে একবার নির্বাচন হবে এবং লোকসভা ও বিধানসভা। একই সঙ্গে নির্বাচন হতো কিন্তু পরবর্তীতে পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে আলাদাভাবে নির্বাচন হতে থাকে। আজ পরিস্থিতি এমন যে প্রতি ৬ মাস পর পর নির্বাচন হয়, তাই এখন দেশে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একই সাথে হওয়া দরকার…”।
