মুম্বইয়ে অভিনেতা সইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় বাংলাদেশি নাগরিক শরিফুল ইসলাম শেহজাদ গ্রেফতার হয়েছে। বেআইনি পথে মেঘালয় সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে মুম্বইয়ে আশ্রয় নিয়েছিল সে। মহারাষ্ট্র পুলিশ জানিয়েছে, গত এক মাসে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৪০ জন অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধৃত বাংলাদেশিদের কারও কাছেই বৈধ পাসপোর্ট বা নথি পাওয়া যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, অনুপ্রবেশকারীদের অনেকেই ভুয়ো নথি বানিয়ে আধার এবং প্যান কার্ড সংগ্রহ করেছিল। সম্প্রতি কল্যাণ–ডোম্বিভলি থেকে পাঁচ বাংলাদেশি ধরা পড়ে। এর আগে মুম্বই, থানে, নভি মুম্বই এবং নাসিকে অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে।
এদিকে, সইফ আলি খানকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় ধৃত শরিফুলের বাবা এবং বাংলাদেশে বিএনপি নেতা মহম্মদ রহুল আমিন দাবি করেছেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তার ছেলে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসে। হাসিনা সরকারের মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে শরিফুল ভারতে কাজের খোঁজে পাড়ি দেয়।
বাংলাদেশ থেকে বেআইনি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার উদ্যোগ নিলেও বিজিবি এর বিরোধিতা করছে। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকার ভারতে সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যেও কাঁটাতার দেওয়ার অনুমতি দিলেও, বর্তমানে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে প্রভাবিত করছে।
বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র পুলিশের তল্লাশি অভিযান এবং সীমান্তে কাঁটাতার নিয়ে দুই দেশের বিবাদের ফলে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে।