প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে ঘোষিত হলো ২০২৫ সালের পদ্ম সম্মানপ্রাপকদের তালিকা। এবছর ১৩৯ জন এই বিশেষ সম্মান পেয়েছেন। এর মধ্যে ৭টি পদ্মবিভূষণ, ১৯টি পদ্মভূষণ এবং ১১৩টি পদ্মশ্রী সম্মান অন্তর্ভুক্ত। তবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এবার পদ্মবিভূষণ ও পদ্মভূষণ না এলেও একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
বাংলার গর্ব, বিশ্বখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী অরিজিৎ সিং তাঁর অসাধারণ সুরেলা অবদানের জন্য পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছেন। মুর্শিদাবাদের এই ভূমিপুত্র ছাড়াও বাংলার আরেক কিংবদন্তি, নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী মমতা শঙ্করও পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। ৭০ বছর বয়সী মমতা শঙ্কর এই সম্মান পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, “এই সম্মান পাওয়া আমার কাছে স্বপ্নের মতো। মনে পড়ছে বাবা-মা এবং সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋতুপর্ণ ঘোষের মতো প্রিয় মানুষদের কথা।”
এছাড়া বাংলার আরো কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব পদ্মশ্রী পেয়েছেন। সরোদ বাদক তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার, ঢাক বাদক গোকুল চন্দ্র দাস, এবং সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজ এই তালিকায় রয়েছেন। এছাড়া শিল্পপতি পবন গোয়েঙ্কা, সজ্জন ভজঙ্ক এবং সমাজকল্যাণকর্মী বিনায়ক লোহানি পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। সাহিত্য ও শিক্ষায় অবদানের জন্য এই সম্মান পেয়েছেন নগেন্দ্রনাথ রায়।
অসমের নৃত্যগুরু যতীন গোস্বামী এবছর পদ্ম সম্মান পেয়েছেন। অর্থনীতিতে অসামান্য অবদানের জন্য মরণোত্তর পদ্মভূষণ পেয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বিবেক দেবরায়। এই বিশেষ সম্মান বিশিষ্টদের কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দিতে প্রতি বছর সরকারের তরফে প্রদান করা হয়। ২০২৫ সালের তালিকায় বাংলা আবারও নিজের স্বতন্ত্র অবস্থান তুলে ধরেছে।