ভারতে সাম্প্রতিক লিভ-ইন সম্পর্কের মধ্যে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় দাবি করা হয়েছে, লিভ-ইন সম্পর্কের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হোক। এর মাধ্যমে অংশীদারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে এবং এই সম্পর্ক থেকে জন্ম নেওয়া সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে।
আবেদনে কিছু আলোচিত হত্যাকাণ্ডের উদাহরণ উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে, ২০২৩ সালে শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ড পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা শ্রদ্ধাকে হত্যা করে তার দেহ টুকরো টুকরো করে সংরক্ষণ করে এবং পরে তা জঙ্গলে ফেলে দেয়। অন্যদিকে, দিল্লির নজফগড় এলাকায় সাহিল গেহলট নামে এক ব্যক্তি তার সঙ্গী নিকি যাদবকে হত্যা করে দেহ একটি ফ্রিজে লুকিয়ে রাখে এবং অন্য মহিলাকে বিয়ে করে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে দাখিল করা পিটিশনে বলা হয়েছে, বাধ্যতামূলক রেজিস্ট্রেশন একদিকে লিভ-ইন সম্পর্ককে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনবে, অন্যদিকে অংশীদারদের সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করবে।
আবেদনকারীরা মনে করছেন, রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে লিভ-ইন সম্পর্কগুলো আরও স্বচ্ছ এবং আইনের অধীনে নিয়ন্ত্রিত হবে। একইসঙ্গে, এই ধরনের সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত কোনো অপরাধমূলক কার্যকলাপের প্রতিরোধ সম্ভব হবে। সুপ্রিম কোর্টে প্রস্তাবিত এই আইনি পদক্ষেপ নিয়ে শীঘ্রই কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে।