বাজেট ২০২৫-২৬: ১ ফেব্রুয়ারি অষ্টম বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। দেশের মন্থর প্রবৃদ্ধির হার পুনরুজ্জীবিত করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার ঐতিহ্যবাহী হালুয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাজেট প্রস্তুতির চূড়ান্ত পর্ব শুরু হয়েছে। বাজেট তৈরির প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ব্যক্তিদের কি চেনেন? জানতে হলে এই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ পড়ুন।
অর্থ ও রাজস্ব সচিব তুহিন কান্ত পান্ডে:-
অর্থ ও রাজস্ব সচিব তুহিন কান্ত পান্ডে ওডিশা ক্যাডারের ১৯৮৭ ব্যাচের আইএএস অফিসার। অর্থ ও রাজস্ব সচিব হিসাবে কাজ ভীষণ কঠিন। কর বিরতির প্রত্যাশার ভারসাম্য বজায় রেখে কীভাবে রাজস্ব বাড়ানো যায় তা তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বাজেটের মাত্র কয়েক দিন আগে এই বিভাগের দায়িত্ব নিয়েছেন। আয়কর আইনে পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি তদারকি করছেন তিনি। সংসদের আসন্ন অধিবেশনে তা উপস্থাপন করা হতে পারে বলে খবর।
প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরন:-
IIM-আহমেদাবাদের প্রাক্তন ছাত্র এবং ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী নাগেশ্বরন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের খণ্ডকালীন সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। সবার চোখ থাকবে তাঁর তৈরি করা অর্থনৈতিক সমীক্ষার দিকে। প্রবৃদ্ধি বাড়ানো এবং একটি অনিশ্চিত বিশ্বে তার পথ তৈরি করার জন্য ভারতের কৌশল কী হবে, সেটাই স্থির করবেন তিনি।
অর্থনৈতিক বিষয়ক বিভাগের সচিব অজয় শেঠ:-
অর্থনৈতিক বিষয়ক বিভাগের সচিব অজয় শেঠ তাঁর বিভাগের প্রধান যেটি চূড়ান্ত বাজেট নথি প্রস্তুত করে এবং সমগ্র অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার তত্ত্বাবধান করে। ১৯৮৭ ব্যাচের কর্ণাটক ক্যাডারের আইএএস অফিসার তিনি। ভারত তার আর্থিক একত্রীকরণ কাঠামোতে একটি ঋণ লক্ষ্যে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করছে। এমতাবস্থায় সবার চোখ থাকবে তাঁর দিকে।
ব্যয় দপ্তরের সচিব মনোজ গোভিল:-
মধ্যপ্রদেশ ক্যাডারের ১৯৯১ ব্যাচের আইএএস অফিসার, ব্যয় দপ্তরের সচিব মনোজ গোভিল। ব্যয় বিভাগে যোগদানের আগে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব ছিলেন তিনি। ভর্তুকি এবং কেন্দ্রীয়ভাবে স্পনসরকৃত স্কিমগুলিকে যৌক্তিক করা এবং ব্যয়ের মান উন্নত করা তাঁর কাজ।
আর্থিক পরিষেবা দফতরের সচিব এম নাগারাজু:-
ডিএফএসে যোগ দেওয়ার আগে কয়লা মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব ছিলেন নাগারাজু। তিনি ১১৫ টিরও বেশি কয়লা খনির নিলামের মাধ্যমে ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক খনির মাধ্যমে অঞ্চলটি খোলার নেতৃত্ব দেন। এই ১৯৯৩ ব্যাচের ত্রিপুরা ক্যাডার আইএএস অফিসারের জন্য পর্যাপ্ত ক্রেডিট প্রবাহ এবং আমানত সংগ্রহ, ফিনটেক নিয়ন্ত্রণ, বীমা কভারেজ সম্প্রসারণ এবং ডিজিটাল ইন্টারফেস বাড়ানো নিশ্চিত করা সব বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
ডিআইপিএএম এবং ডিপিই সেক্রেটারি অরুনীশ চাওলা:-
অর্থমন্ত্রীর দলের নতুন সদস্য অরুনীশ চাওলা এর আগে ফার্মাসিউটিক্যালস বিভাগের প্রধান ছিলেন। ১৯৯২ ব্যাচের বিহার ক্যাডারের আইএএস অফিসারের কাছে বিনিয়োগ এবং সম্পদ নগদীকরণ কর্মসূচিকে ত্বরান্বিত করা, আইডিবিআই ব্যাঙ্কের কৌশলগত বিক্রয় এবং সরকার-চালিত উদ্যোগগুলির নন-কোর অ্যাসেটের মূল্য আনলক করার চ্যালেঞ্জিং কাজ করেছেন তিনি।