আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে নতুন মোড়। তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তের মাঝে উঠে আসা এই কেলেঙ্কারির বিষয়ে শীঘ্রই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে সিবিআই এই তথ্য জানায়।
প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি প্রথম সামনে আনেন প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। তার দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। এর পাশাপাশি এই মামলায় ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-ও যুক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতে সিবিআই মুখবন্ধ খামে গুরুত্বপূর্ণ নথি পেশ করে। ইডি আদালতে জানায়, তদন্ত দ্রুত এগিয়ে চলছে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ইডি-কে দ্রুত তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্রের দাবি, হাসপাতালের একাধিক প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তহবিল বরাদ্দ থেকে সরঞ্জাম কেনার নানা পর্যায়ে ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে তদন্তকারীরা। আদালতে পেশ করা নথি অনুযায়ী, এই কেলেঙ্কারিতে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উঠে আসার সম্ভাবনা।
সিবিআই জানিয়েছে, তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহের কাজ শেষ হলেই এই মামলার বিচার শুরু হবে। অন্যদিকে, আরজি কর হাসপাতালে একের পর এক দুর্নীতি ও অপরাধের ঘটনায় ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। হাই কোর্টের দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার নির্দেশে সেই ক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।